লাইফষ্টাইল ডেস্ক : সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছ থেকে পাওয়া ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের জন্য খুবই উপকারী। শরীরের দুই প্রধান অঙ্গ হার্ট এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই বলে ওমেগা থ্রি বা ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট খেলে কিন্তু তেমন কোনও লাভই হবে না। অন্তত এমনটাই দাবি ইংল্যান্ডের নরউইচে অবস্থিত অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের।
ওই ব্রিটিশ গবেষকরা জানান, এক লক্ষেরও বেশি মানুষের উপর পরীক্ষা করে তাঁরা দেখেছেন ওমেগা থ্রি বা ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট খেলে শরীরে তেমন কোনও প্রভাব পড়ে না। বরং, সরাসরি তৈলাক্ত মাছ বা সামুদ্রিক মাছ খেলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও তার প্রভাব অনেকটাই বেশি।
ইলিশ হোক বা পমফ্রেট, সার্ডিন হোক বা স্যামন, সামুদ্রিক মাছেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ অ্যান্ড মেডিসিন ইন টোকিও’র বিজ্ঞানীদের দাবি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা কমায়। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি কমে যায়। অস্বাভাবিক হৃত্স্পন্দন কমাতে সাহায্য করে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
শিশুর মস্তিষ্ক গঠনেও সাহায্য করে ওমেগা থ্রি। অবসাদ ও মনঃসংযোগে ব্যাঘাতজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে ভাল ফল দেয়। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ব্রেস্ট ক্যানসার, কোলন ক্যানসার ও প্রস্টেট ক্যানসারেরও ঝুঁকি কমায়। ডায়াবেটিক রোগীদের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে ওমেগা থ্রি অত্যন্ত উপকারী। শুধু তাই নয়, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়।
২০১৮ সাল থেকেই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড নিয়ে গবেষণা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। ডঃ লি হোপার জানান, আগের গবেষণার রিপোর্ট অনিযায়ী ওমেগা থ্রি-এর বিকল্প খাবার প্রস্টেট ক্যান্সার সমাধানে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া বন্ধ করে, সপ্তাহে ২-৩ দিন তৈলাক্ত মাছ খান। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। তবে যাঁদের বাতের সমস্যা রয়েছে বা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি, তাঁদের তৈলাক্ত মাছ, সামুদ্রিক মাছ বা যে কোনও সামুদ্রিক খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।