লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্তমানে ফিল্টারসহ নানা আধুনিকতার কারণে ফিটকিরিরি ওপর নির্ভরতা কমলেও আগে এটাই ছিল ভরসা। দাড়ি কাটতে গিয়ে ব্লেডে গালটা আচমকা কেটে গেলে, স্যাভলন বা কোনো আফটারসেভের খোঁজ পড়ত না। হাতের কাছে থাকা ফিটকিরির ডেলা গালে ঘষে নিতেন। ব্যস, রক্ত বন্ধ। এছাড়াও নিত্যদিনের প্রয়োজনে ফিটকিরির নানা বিধি ব্যবহার রয়েছে। এই ফিটকিরির আজব কিছু গুন জেনে নিন :
১. সর্বঘটের কাঁঠালি কলা : তা আপনি বলতেই পারেন। আগে তো বাড়ির মেয়েরা রূপচর্চা করতেও ফটকিরি ব্যবহার করতেন। তার কারণ, বলিরেখা পড়তে দেয় না। তা ছাড়া, যেহেতু অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, তাই দাঁতের রোগেও কিন্তু ফিটকিরি ভালো কাজ দেয়।
২. হঠাৎ রক্ত : দাড়ি কাটতে গিয়ে গালটা কেটে গেলে, সেলুনে এখনও টিটকিরি ঘষে দেয়। যদি, গাল কাটাই নয়, যে কোনও আঘাতে রক্তপাত হলে, সেখানে ফটকিরি চূর্ণ করে দিয়ে দিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্ত বেরোনো বন্ধ হবে।
৩.টনসিলে আরাম : ঠান্ডা লেগে গলায় ব্যথা হলে বা গ্ল্যান্ড ফুললে, গরম জলে এক চিমটে নুন ও ফটকিরি চূর্ণ মিশিয়ে, দিনে কয়েকবার গার্গেল করুন। স্বস্তি পাবেন।
৪.আঙুলে হাজা : অতিরিক্ত জল ঘাঁটার কারণে হাতে হাজা হলে, বা, পায়ের পাতা ফুললে, নিশ্চিন্তে ফটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। এক টুকরো ফটকিরি জলে ফেলে, জলটা ভালো করে গরম করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে, পা চুবিয়ে রাখুন। দুরন্ত আরাম পাবেন।
৫.ব্রন-ফুসকুড়ি : মুখে ব্রন-ফুসকুড়ি হচ্ছে? মুখ ড্রাই হয়ে, চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে? চিন্তা করবেন না। ভালো করে মুখ ধুয়ে নিয়ে, সারা মুখে অনেকক্ষণ ধরে ফটকিরি ঘষুন। বা ফটকিরি চূর্ণ জলে গুলে, মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে, কিছুক্ষণ পর মুখটা ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে কিছু দিন করলে, মুখে ঊজ্জ্বলতা ফিরবে। ব্রন-ফুসকুড়ির হাত থেকেও মুক্তি পাবেন।
৬.দাঁতে যন্ত্রণা : দাঁতের যন্ত্রণায় ভুগেছেন? বা, মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? সব মাজনে চেষ্টা করেও, মুখের গন্ধ যাচ্ছে না? তাই কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না? আপনাকে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে ফটকিরি। গরম জলে ফটকিরি গুলে নিয়ে, কুলকুচি করুন। আপনি দাঁতের যন্ত্রণার হাত থেকে নিশ্চিতভাবেই মুক্তি পাবেন। মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে লজ্জায় পড়তে হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।