লাইফস্টাইল ডেস্ক : যে কোনো রোগের ক্ষেত্রে সব চেয়ে আগে মাথায় আসে খাবার-দাবারের প্রসঙ্গ। মরণব্যাধি ক্যানাসরের ক্ষেত্রেও তাই। চিকিৎসাবিজ্ঞান ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই যুগেও ক্যানসার অতি ভীতিকর একটি রোগ।
অনেকে বলেন, ক্যানসার হ্যাজ নো অ্যানসার। মানে হচ্ছে, এই রোগের তেমন কোনো চিকিৎসা নেই, যদি প্রাথমিক অবস্থায় ধরা না পড়ে।
তবে আমাদের হাতের কাছেই এমন কিছু খাবার আছে যেগুলোকে হাতিয়ার করে মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব। চলুন জেনে নিই তেমনই পাঁচ খাবার সম্পর্কে।
ক্যাবেজ জাতীয় সবজি
বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, ওলকপি, শালগম। এই ধরনের সবজিতে আইসোথায়োসায়ানেট নামে এক ধরনের ফাইটোকেমিকেল থাকে, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম।
এছাড়া এগুলোতে ক্যানসার প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে। ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে অন্যান্য কয়েকটি সবজিও কার্যকরী। যেমন- পেঁয়াজ, মরিচ, গাজর, বিট ইত্যাদি।
বাদাম
চিনাবাদাম ভিটামিন-ই এর সবচেয়ে ভালো উৎস। ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ চিনাবাদাম কোলন, ফুসফুস, যকৃত এবং অন্যান্য ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। তাই সকালে কিংবা বিকালের খাবারে একটু চিনাবাদাম রাখতেই পারেন।
মাশরুম
উচ্চ পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি সবজি মাশরুম। এটি যে কোনো রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মরণব্যাধি ক্যানসারের বিরুদ্ধেও লড়াই করে।
তৈলাক্ত মাছ
কিছু কিছু মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটি প্রকৃতিগত ভাবে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিটিউমার ও অ্যান্টিক্যানসার বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। ফলে তৈলাক্ত মাছ খাদ্য তালিকায় রাখুন।
গ্রিন টি
ক্যানসার রোগীর মৃত্যুর প্রধান কারণ মেটাস্ট্যাসিস বা ক্যানসার-আক্রান্ত কোষ ছড়িয়ে পড়া। গ্রিন টি-তে রয়েছে পলিফেনোলিক কম্পাউন্ড, ক্যাটেচিন, গ্যালোক্যাটেচিন এবং ইজিসিজি (অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্যানসারের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।
এছাড়া টিউমার বৃদ্ধি রোধ করে এবং গোটা শরীরে ক্যানসার ছড়িয়ে-পড়া বা মেটাস্ট্যাসিস রুখে দেয়। ফলে নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যানসার যদি প্রাথমিক স্তরে শনাক্ত করা যায়, তাহলে খুব দ্রুত এবং সহজেই এ রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব।
ক্যানসার চিকিৎসকরা বলে থাকেন, একেবারে শুরুর দিকে শনাক্ত করা গেলে সব ক্যানসারই আরোগ্যযোগ্য। তাই উপসর্গের ব্যাপারেও একটু সচেতন থাকা দরকার।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই ক্যনসারের উপসর্গ নিয়ে সচেতন নন। উপসর্গ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণাই নেই!
তবে যদি উপসর্গ চিনে নিতে পারেন এবং দেখেন যে, এসব উপসর্গের কোনো একটি বা দুটি তিন সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে স্থায়ী হচ্ছে, তাহলে অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।