লাইফস্টাইল ডেস্ক : স্বাস্থ্যকর জীবনপ্রণালী বেঁচে থাকার জন্য খুবই দরকার। কিন্তু তা বাঁধা পায় নানা অসুখের কারণে। যেমন ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল ইত্যাদি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়তে থাকে। একই সঙ্গে ঝুঁকি বাড়ে হৃদরোগের। অনেকের ধারণা চর্বি জাতীয় খাবার খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারণা ঠিক নয়।
শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। লাইপোপ্রোটিন এইচডিএল এবং লো-ডে্নসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এলডিএল। এই এলডিএল কোলেস্টেরলকে বলা হয় খারাপ কোলেস্টেরল। এটিই হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের কারণ। সে জন্য এই কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। তার জন্য খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে এই পাঁচটি খাবার-
ওটস
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে প্রতিদিন ডায়েটে ওট্স রাখতেই পারেন। এতে ভরপুর মাত্রায় দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই সলিউবল ফাইবার খেলে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল বেরিয়ে যায়। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ গ্রাম ফাইবার এলডিএলের মাত্রা কমায়
হুয় প্রোটিন
পনির তৈরি করার পর তা থকে যে পানি বেড়িয়ে যায় তাকেই বলে হুয় প্রোটিন। এটি রক্তচাপ ও এলডিএলের মাত্রা কমায়। নিরামিষশাসীদের জন্য এটি একটি ভালো ডায়েট।
মটরশুটি
মটরশুটি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। এটিও আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমিয়ে দেয়। তাই আজই আপনার ডায়েটে যোগ করুন কালো মটরশুটি, মুসুরডালের মতো হাই ফাইবার যুক্ত খাবার।
মাছ
মাছের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড কিন্তু রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে বেশ উপকারী। এ ক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাছ রাখতেই পারেন।
ফল
ফলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। পেকটিন হলো সেই ধরনের দ্রবণীয় প্রোটিন যা ১০ শতাংশের মতো কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে পারে। আঙ্গুর, আপেল, বেরি, কমলালেবুর মতো ফলগুলোতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি- যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।