লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীত এলেই ঢাকা, দিল্লি, লাহোরের বায়ু দূষণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিয়মিত সংবাদশিরোনাম হয়। শীতে স্বাভাবিক ধূলাবালির সঙ্গে বাতাসে যুক্ত হচ্ছে ধোঁয়াসহ নানারকম দূষণকণা। ফলে শহুরে অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে কুয়াশার মতো দেখতে স্মগ বা ধোঁয়াশা। এই দূষিত বায়ুতে শ্বাস নিয়ে নগরবাসীরা আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি-কাশিসহ নানা সমস্যায়। এর মূল কারণ দূষণে আক্রান্ত হচ্ছে আমাদের ফুসফুস। কিন্তু সারাদিন বাইরে কাটিয়ে ঘরে ফিরে আমরা শরীর পরিষ্কার করলেও দেহের ভেতরকার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটিকেও পরিষ্কার করার কথা হয়তো ভাবি না। অনেকে হয়তো জানেন না ফুসফুসও পরিষ্কার রাখা যায়। একে বলা হয় ‘লাংস ডিটক্সিফিকেশন’ সহজ কথায় ফুসফুস থেকে বিষ দূরীকরণ।
আসুন জেনে নেওয়া যাক বিষাক্ত বাতাসে আক্রান্ত ফুসফুস পরিষ্কার রাখার পাঁচটি ঘরোয়া উপায়:
পানির বাষ্পের ভাপ নেওয়া: ফুসফুস থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বা বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে চাইলে সহজ উপায় পানির বাষ্পের ভাপ নেওয়া। এজন্য একটি পাত্রে পানি ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে, যেন পর্যাপ্ত বাষ্প বের হতে থাকে। এরপর মাথার দিক থেকে টাওয়াল দিয়ে গরম পানি থেকে উঠতে থাকা ধূমায়ীত বাষ্প নাক-মুখ দিয়ে টানতে থাকুন। এভাবে দিনে মাত্র ৫-১০ মিনিট পানির ভাপ নিলেই উপকার পাবেন। ফুসফুসের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র নালী পরিষ্কার হবে।
পান করতে পারেন গ্রিন টি: আমাদের হাতের কাজে মজুত থাকা অত্যন্ত উপকারী একটি পানীয় হল গ্রিন টি। এতে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মজুত রয়েছে যা কিনা ফুসফুসের প্রদাহ প্রশমিত করতে বেশ কাজে আসে। এমনকী বায়ু দূষণের করাল গ্রাস থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করার কাজেও এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। তাই প্রতিদিন অন্তত ১ কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন।
দূষণ ঠেকানোর ওষুধ যেসব খাবারে: হলুদ, পালং, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, চেরি, ওয়ালনাট, কাঠবাদামের মতো খাবারে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদানের ভাণ্ডার। তাই তো নিয়মিত এইসব খাবার খেলেই ফুসফুসের প্রদাহকে আপনি প্রশমিত করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, এইসব খাবারে মজুত থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই অঙ্গের বায়ু চলাচলকারী নালী থেকে টক্সিন বের করে দেওয়ার ক্ষমতাও রাখে। তাই আপনার রোজকার খাদ্য তালিকায় এইসব খাবারকে জায়গা দিন।
মধুতে বিষক্ষয়: টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে যে, নিয়মিত মধু খেলে করলে চরম বায়ু দূষণের মধ্যেও ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে পারবেন। কারণ, এতে রয়েছে বেশ কিছু অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান যা কিনা এই অঙ্গে জমে থাকা ময়লাকে দেহের বাইরে বের করে দিতে পারে। এমনকী মধুর গুণে হাঁপানি, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশির মতো সমস্যার ফাঁদও অনায়াসে এড়িয়ে চলতে পারবেন। তাই শীতকালে অন্তত নির্দ্বিধায় মধু খান।
ঘরে-বাইরে বাড়তি সাবধানতা: নিয়মিত কার্পেট, পর্দা, সোফা, বিছানার চাদর পরিষ্কার করুন। ঘরের কোথাও ধুলো জমতে দেবেন না। বাইরে বের হলে করোনাকালের অভ্যাস মতো মাস্ক ব্যবহার করুন। আশা করছি, এই নিয়মগুলি মেনে চললেই আপনার ফুসফুসের স্বাস্থ্য থাকবে ভাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।