সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের সোনা চোরাচালান মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাম্রম কারাদন্ড প্রদান করেন আদালতের বিচারক।
বুধবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার আসামিদের উপস্থতিতে এই রায় দেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার লোহাকুড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে ইয়াহিয়া আমিন, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সংকরপুর গ্রামের মৃত শেখ মোজাম্মেল হকের ছেলে শেখ আমীনুর রহমান ও শেখ জাহিদুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার নাগেরহাট গ্রামের আঃ রহমান বেপারীর ছেলে মোঃ মনিরুজ্জামান রনি, লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার জগৎপুর গ্রামের আহম্মদ উল্লাহর ছেলে জহিরুল ইসলাম তারেক।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর ঢাকা থেকে মহাসড়ক হয়ে চোরাকারবারীরা স্বর্ণ নিয়ে বেনাপোল যাচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের তরা এলাকায় চেক পোস্ট বসায় র্যাব-২। পরে বেলা ১১ টার দিকে বেনাপোলগামী একটি বাসের গতিরোধ করা হয়। এর পর ওই বাসের সকল যাত্রীদের বাস থেকে নামার অনুরোধ করে র্যবা। এ সময় ৫ জন যাত্রী তাদের সামনে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব তাদের আটক করে। এর পর তাদের দেহ তল্লাশী করে ২২৭টি স্বর্নের বার যাহার ওজন ৪৩.৭ কেজি (২৬৪৭৭ গ্রাম) উদ্ধার করেন। জব্দকৃত স্বর্ণের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই আটক ব্যক্তিরা। এ ঘটনার পরের দিন ৫ আক্টোবর মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা রুজু হয়। পরে এই মামলার তদন্তভার পান সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ হারেস সিকদার। তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন ১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তরিখে।
১৫ জনের সাক্ষীগ্রহণ শেষে আসামীদের অপরাধ প্রমাণীত হওয়ায় বিচারক এই রায় প্রদান করেন।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন, অতিরিক্ত পি.পি মথুর নাথ সরকার ও আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলো মোঃ নজরুল ইসলাম বাদশা।
এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামী পক্ষের আইনজীবী উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।