দিন দিন ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ায় এ রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে। রোগটি খুবই মারাত্মক। লিভারের কোষসমূহে অতিরিক্ত চর্বি জমার কারণেই এই রোগ দেখা দেয়। দেশে সাধারণ হিসেবে শতকরা ১৮ থেকে ২০ ভাগ মানুষ এ রোগে ভুগছেন। সময় থাকতেই এই রোগ প্রতিরোধে সচেতন হতে হবে।
লিভারে চর্বি জমে গেলে কিছু ঘরোয়া উপায়ে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক লিভারের কমানোর উপায় সমূহ-
১. রোজ ঘণ্টাখানেক ঘাম ঝরিয়ে হাঁটতে চেষ্টা করুন।
২. নেশাজাতীয় দ্রব্য বর্জন করতে হবে। মদ্যপান ত্যাগ করুন।
৩. ফাস্টফুড, কার্বোনেটেড চর্বি বা শর্করা সমৃদ্ধ ড্রিংকস, চকলেট বর্জনীয়।
৪. দৈনিক শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম শরীরের ওজন ও লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
৫. বর্তমানে ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা প্রধানত জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তনের ওপরই জোর দিয়ে থাকে। শরীরের ওজন কমানো, দৈনন্দিন ব্যায়াম এবং কম ক্যালরিযুক্ত আঁশসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ জরুরি।
৬. সুষম ও ক্যালারিযুক্ত আঁশসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। যেমন- সবুজ শাক-সবজি, ফলমূল, ইত্যাদি। উচ্চ শর্করা বা চর্বিসমৃদ্ধ খাবার যেমন- ঘি, মাখন, পনির, লাল মাংস, মাছের ডিম, বড় মাছের মাথা বর্জনীয়। এতে শরীরের পরিপাক সঠিক হয় এবং ওজন ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
৭. শরীরের ওজন স্বাভাবিক রাখতে সচেষ্ট হতে হবে। অতিরিক্ত ওজন ঝেড়ে ফেলুন। শরীরের ৫ থেকে ১০ শতাংশ ওজন কমালে লিভারের চর্বি ও চর্বিজনিত প্রদাহ যথেষ্ট পরিমাপে কমে এবং লিভারের এনজাইমগুলো স্বাভাবিক হয়। মনে রাখতে হবে অতিদ্রুত শরীরের ওজন কমানো ঠিক নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।