লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্ষাকাল মানেই মৌসুমী সংক্রমণের বাড়বা়ড়ন্ত। মৌসুমী সংক্রমণের সঙ্গে লড়তে অনেকেই তাই চেষ্টা করেন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর। কেউ ব্যায়াম করে সুস্থ থাকার চেষ্টা করেন। অনেকে আবার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দুধের সঙ্গে খান কাঁচা হলুদ। কেউ আবার রান্নায় আদা, হিং, জিরের মতো মশলা বেশি করে ব্যবহার করেন। তবে এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলি খেলে অজান্তেই কমে যেতে পারে প্রতিরোধ শক্তি। সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলুন তেমন কয়েকটি খাবার।
নরম পানীয়
অনেকেই আছেন, যারা ভরপেট আহারের পর নরম পানীয় খাওয়া অভ্যাস করে ফেলেছেন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাই হোক কিংবা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে গলা শুকিয়ে আসা— অনেকেই এমন পরিস্থিতি ঠান্ড নরম পানীয়ে চুমুক দেন। এমন ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া জরুরি। কারণ যে কোনও নরম পানীয়ে চিনির পরিমাণ এতটাই বেশি থাকে, তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার কারণ হতে পারে।
ভাজাভুজি
বাইরের যে কোনও ভাজাভুজিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। যা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। ওজন তো বাড়িয়ে দেয়ই, সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের খাবার খেলে প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। বর্ষার রোগের সঙ্গে লড়তে এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকুন।
মদ
অতিরিক্ত মাত্রায় মদপান করলে পেটের ভিতরে থাকা স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়াগুলির কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর প্রভাব পড়ে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
রান্নাবান্না করতে মন না চাইলেই ফ্রিজে রাখা প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলির দিকে নজর যায়। সসেজ, কবাব, রান্না করা প্যাকেটজাত খাবার— এই সবে অতিরিক্ত মাত্রায় রাসায়নিক পদার্থ মেশানো থাকে দীর্ঘদিন সেই খাবার টাটকা রাখতে। এর প্রভাবেও শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়।
লবণ ও চিনি
লবণ ও চিনিতে যেমন থাকে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট, তেমনই আছে শর্করা। সেই সঙ্গে থাকে কিছু মিষ্টিতে থাকে ভাল পরিমাণ ময়দাও। সব ক’টি উপাদানই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায় সঙ্গে বেশি মিষ্টি খেলে কমে যেতে পারে প্রতিরোধ ক্ষমতাও। খাওয়াদাওয়া লবণের মাত্রাও কমিয়ে আনতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে আপোস করতে না চাইলে কাঁচা লবণ খাওয়া বন্ধ করুন, রান্নায় লবণের ব্যবহার কমিয়ে আনুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।