লাইফস্টাইল ডেস্ক : জ্যৈষ্ঠ মাস শেষ হয়ে শুরু হয়েছে আষাঢ় মাস। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠের ভ্যাপসা গরম কিছুটা কমেছে বর্ষা আসায়। কিন্তু একেবারে বিদায় নেয়নি গরমের অস্বস্তি। বৃষ্টি হলেও আর্দ্রতার কারণে এই সময় ঘাম বেশি হতে পারে। শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে অনেকটা পানি।
তাই এই গরমের মোকাবিলা করতে অনেকেই ভরসা রাখেন ফলের রস, ডাব ও আইসক্রিমের মতো খাবারে। বিশেষ করে, ফলের রস আর ডাবের পানি শরীরে পানির চাহিদা মেটায়। তবে সবার জন্য কি এসব পানীয় আর আইসক্রিম ভালো?
বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা যাদের রয়েছে, তাদের জন্য ফলের রস, ডাবের পানি, আইসক্রিম কোনোটাই ভালো নয়। চলুন একে একে জেনে নেই খাবারগুলো কীভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
ফলের শরবত
রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে ফলের শরবত। কিছু নির্দিষ্ট ফলের রস শরীরে প্রবেশ করার পরেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করলে যেকোনো মুহূর্তে বড়সড় সমস্যার আশঙ্কা থাকে। তাই কোন কোন ফলের শরবত এড়িয়ে চলবেন তা জেনে রাখা ভালো।
ফলের শরবত বানাতে অনেকগুলো ফল একসঙ্গে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত এই ধরনের শরবতে চিনির গাঢ়ত্বও অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ফলের শরবত বানানোর সময় অনেক কম তরলে বেশি পরিমাণে শাঁস থাকে। তাই এই ধরনের ফলের শরবত এড়িয়ে চলতেই পরামর্শ দিচ্ছেন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞরা।
ডাবের পানি
গরমের ভ্যাপসাভাব কমাতে ডাবের বিকল্প নেই। ডাবেই ভরসা রাখেন অধিকাংশ মানুষ। তবে ডায়াবেটিস থাকলে এই পানি না খাওয়াই ভালো। কারণ এর মধ্যে কার্বোহাইড্রেট ও চিনির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এতে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। বরং এর বদলে সাধারণ পানি খেলেও অনেক উপকার পাবেন।
আইসক্রিম বা ঠাণ্ডা দই
ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই পেতে অনেকেই ভরসা রাখেন আইসক্রিম বা ঠাণ্ডা দইয়ে। কিন্তু এই আইসক্রিম বা দইয়ের জেরেও বাড়তে পারে রক্তের সুগার। শরীর ঠাণ্ডা করতে সাহায্য করলেও এর মধ্যে চিনির পরিমাণ রয়েছে অনেকটাই বেশি।
বিজ্ঞানীদের কথায়, গরমের মধ্যে এমনিই শরীরে পানি কমে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তার মধ্যে চিনির পরিমাণ বাড়লে সুগার মাত্রা বিপজ্জনক সীমায় পৌঁছাতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।