আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বে মাইক্রোচিপে ঘাটতি আরও খারাপ মোড় নেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেমিকনডাক্টর উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের রফতানিতে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞার ফলে চিপ সরবরাহ ব্যবস্থায় চাপ বাড়বে।
গ্লোবাল টাইমসের বরাতে রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, সেমিকনডাক্টর উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের রফতানির ওপর রাশিয়ান সরকারের বিধিনিষেধ বিশ্ববাজারে চিপের ঘাটতি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। একই সঙ্গে দামও বেড়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে বেইজিংভিত্তিক ইনফরমেশন কনজাম্পশন অ্যালায়েন্সের মহাপরিচালক জিয়াং লিগাং বলেন, এই বিধিনিষেধগুলো চীনের অভ্যন্তরীণ সেমিকনডাক্টর উৎপাদনকে প্রভাবিত করতে পারে। দেশটি বিশ্বের বৃহত্তম চিপের ভোক্তা এবং আমদানি করা এ চিপগুলোর ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল।
জিয়াং জানান, ২০২১ সালে চীন প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চিপ আমদানি করেছে, যা গাড়ি, স্মার্টফোন, কম্পিউটার, টেলিভিশন ও অন্যান্য ডিভাইস উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব খাত আমদানি করা চিপের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল, সেগুলো আরও উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হতে পারে। তবে এসএমআইসি’র মতো চীনা সংস্থাগুলোর উৎপাদিত চিপ ব্যবহার করা শিল্পগুলোতে এর প্রভাব কম লক্ষণীয় হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রুশ প্রযুক্তি রফতানিকে লক্ষ্য করে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ গত সপ্তাহে রাশিয়া উন্নতমানের গ্যাসের রফতানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে।
প্রসঙ্গত, নোবেল বা ইনার্ড গ্যাস- যেমন নিয়ন, আরগন এবং জেনন গ্যাস সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ। গাড়িসহ গৃহস্থালি যন্ত্রপাতির জন্য প্রয়োজনীয় মাইক্রোচিপ তৈরিতে সেমিকনডাক্টর ব্যবহার করা হয়।
করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে বিশ্বব্যাপী সেমিকনডাক্টরের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে ইউক্রেন সংঘাত এ সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়েছে। ইউক্রেনীয় গ্যাস সরবরাহকারী ইনগ্যাস এবং ক্রাইওইন গ্যাস উৎপাদন বন্ধ করার পর নিয়ন ও জেনন গ্যাসের দাম বিশ্বব্যাপী বেড়ে গেছে। প্রতিষ্ঠান দুটি সেমিকনডাক্টর উৎপাদনে ব্যবহৃত বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ নিয়ন গ্যাস সরবরাহ করে। এদিকে বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত নিয়ন গ্যাসের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত রাশিয়া সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া চীন ও জাপানও উন্নতমানের গ্যাসের প্রধান উৎপাদক। তবে তাদের সরবরাহকৃত গ্যাস প্রধানত অভ্যন্তরীণ বাজারেই ব্যবহৃত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।