ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানে বিধ্বস্ত গাজা সিটি দখলের একটি পরিকল্পনা সম্প্রতি অনুমোদন করেছে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা। এই পরিকল্পনার প্রতিবাদে ইসরায়েলে নজিরবিহীন বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
শনিবার (৯ আগস্ট) তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে দশ হাজারের বেশি মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। এই বিক্ষোভ সমাবেশ দেশটিতে এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশগুলোর অন্যতম বলা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি সেনাদের এই যুদ্ধে জড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবারের সমাবেশের আগে জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবারের ফোরাম নেতানিয়াহু সরকারের প্রতি একটি জিম্মি চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানায়। তারা অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে গাজায় বন্দি প্রিয়জনদের ফিরিয়ে আনার দাবি করে।
আন্দোলনকারীদের মতে, যুদ্ধ চলতে থাকলে বন্দিদের জীবিত ফিরে পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।
গাজা দখলের এই সিদ্ধান্ত শুধু বন্দিদের জীবনই ঝুঁকির মুখে ফেলবে না, সেনাদের ফিরে আসাও কঠিন করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সামরিক বাহিনীর আপত্তি সত্ত্বেও গাজা দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা।
ঘনবসতিপূর্ণ ফিলিস্তিনি শহরটি দখলের সিদ্ধান্তের কয়েক দিন পরই এই বিক্ষোভ শুরু হয়, দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।
গাজা দখলের পরিকল্পনায় রয়েছে- সেখানে এখনো অবস্থান করা হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করা এবং উপত্যকাটিতে হামাসের শাসন-নিয়ন্ত্রণ উচ্ছেদ করা।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর এখন পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় লাখের মতো। ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজায় এখন চলছে দুর্ভিক্ষ। প্রতিদিন িইসরায়েলি গুলির পাশাপাশি অনাহারে মরছে মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে ত্রাণ নিতে যাওয়া গাজাবাসীদের ওপর চলছে গুলি বর্ষণ। এতে হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছে।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.