গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার একান্তই ইসরায়েলের বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিনি ইসরায়েলের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে গাজা দখল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার হলো গাজার সাধারণ মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, গাজা দখলের সিদ্ধান্ত একান্তই ইসরায়েলের বিষয়। আমরা এখন মানবিক সহায়তা এবং খাদ্য সরবরাহে মনোযোগ দিচ্ছি।
ট্রাম্প আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র এই মানবিক প্রচেষ্টায় ইসরায়েলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে। খাদ্য বিতরণ ও অর্থ সহায়তায় ইসরায়েল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েল ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’-এ কয়েক মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েল এখনো সে অর্থ সহায়তার কথা স্বীকার করেনি। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ সমর্থকদের মধ্যে এই উদ্যোগ জনপ্রিয় নাও হতে পারে, যার কারণে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেন, শুধু ইসরায়েল নয়, আরব রাষ্ট্রগুলোরও সহায়তা আমরা পাচ্ছি। তারা শুধু অর্থ নয়, মানবিক ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থায়ও আমাদের পাশে থাকবে বলে আমরা আশা করছি।
উল্লেখ্য, আট দিন আগে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় নতুন খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করবে। হোয়াইট হাউজও তখন জানায়, গাজায় একটি নতুন ত্রাণ বিতরণ পরিকল্পনা শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে। যদিও এখন পর্যন্ত সে পরিকল্পনার বাস্তব কোনো চিত্র দেখা যায়নি।
অন্যদিকে গাজায় এখন বাস্তুচ্যুতির আদেশ জোর করে কার্যকর করা হচ্ছে, যার ফলে পুরো উপত্যকা ছোট ছোট খণ্ডে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে গাজার প্রায় ৮৬ শতাংশ এলাকা সামরিক নিয়ন্ত্রণাধীন। বাকি অংশেও অভিযান চালানো হলে সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের অবস্থা আরও সংকটপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।