আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে এবং এটি আজ মধ্যরাত নাগাদ আঘাত হানতে পারে। দানা’র গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার এবং এটি ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানবে।
তবে আঘাত যখনই হানুক না কেন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে আরেক জায়গায়। কেউ কেউ এই ঘূর্ণিঝড়কে বলছেন ‘ডানা’ আবার কেউ বলছেন ‘দানা’। কিন্তু এর নাম ‘ডানা’ নয়। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘দানা’। আর এ নামকরণ করেছে কাতার।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, এটি আরবি শব্দ। অর্থ, বড় মুক্তার দানা।
বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে একটি প্যানেল। এ অঞ্চলে যে ঘূর্ণিঝড়গুলো হয়, ২০০২ সাল থেকে এ প্যানেলের সদস্য দেশগুলো সেগুলোর নামকরণ করে থাকে। প্রতি চার বছর পর পর সদস্য দেশগুলো বৈঠক করে আগে থেকেই পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে।
ইকোনোমিক এন্ড স্যোশাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্যা প্যাসিফিক প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত সদস্য দেশগুলো এই অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের আগাম নামকরণ করে থাকে। এই নামকরণই দেশের নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী যেখানে ঘূর্ণিঝড় হয় সেখানে সে নামেই এটি পরিচিত হয়।
এই তালিকায় রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ইরান, কাতার, ইয়েমেন, ওমান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর আগে আলোচিত ঝড় ছিল সিডর শ্রীলঙ্কান শব্দ, আইলা মালদ্বীপের শব্দ, আম্পান থাইল্যান্ডের শব্দ, বুলবুল পাকিস্তানের। এর আগে ফণী নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।