জুমবাংলা ডেস্ক : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় এক যুবকের জুতার মধ্যে ও আশপাশের রাস্তায় সোয়া সাত কেজি স্বর্ণ পেয়েছে পুলিশ। যার দাম প্রায় সাত কোটি টাকা।
এ ঘটনায় তিন যুবককে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের পাংশা-চাঁদপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বড় বনগ্রামের আব্দুল খালেক বিশ্বাসের ছেলে নাহিদুল ইসলাম (২০), বাবুপাড়া ইউনিয়নের হাজরাপাড়ার মো. শুকুর আলী শেখের ছেলে মো. আব্দুস সাত্তার শেখ (৩৩) ও কুষ্টিয়া জেলার খোকসা ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামের আয়েন উদ্দিনের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৫)।
দুপুর সাড়ে ১২টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পাংশা থানাধীন বাবুপাড়া ইউনিয়নের পাংশা-চাঁদপুর গ্রামের মো. আব্দুল হালিমের বাড়ির সামনের রাস্তায় পুলিশের টিম দেখে তিন আরোহী একটি মোটরসাইকেল দ্রুত গতিতে চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এতে সন্দেহ হলে পুলিশ ধাওয়া করে তাদের আটক করে। পরে ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ি থেকে তাহমিনা, স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোস্তফা ও ইসলাম শেখসহ উপস্থিত লোকজনের সামনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুস ছাত্তার জানান যে পালানোর সময় রাস্তার পাশে তিনটি স্বর্ণের বার ফেলে দিয়েছিলেন তারা। এসময় তার দেখানো স্থান থেকে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তিনটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। পরে পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নাহিদ নামে আটক অপরজনের পায়ের দুই জুতার মধ্যে স্কচটেপে মোড়ানো সাতটি সোনার বার পাওয়া যায়। এনিয়ে মোট ১০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। ১০টি বারের মধ্যে নয়টি আস্ত। আর একটি বারের মধ্যে ছয়টি ছোট ছোট স্বর্ণের বিস্কুট রয়েছে।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।