জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ সময় উত্তাপ ছড়ানোর পর চট্টগ্রামের চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রসুন কেজিতে ১৫ টাকা, পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা এবং আদা কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। চাক্তাই খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এখনো চীনা রসুনের বুকিং দর চড়া রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে রসুনের দাম বাড়ার পর থেকে বেচাবিক্রি কমে গেছে। মূলত বাজারে চাহিদা কমার কারণে দাম কমছে। আদার দরপতনেও একই কথা প্রযোজ্য। তবে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমছে।
গতকাল চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩৩–৩৪ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৩৮–৩৯ টাকায়। এছাড়া বর্তমানে চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়। অপরদিকে বর্তমানে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৭০–২৩০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১৯০–২৫০ টাকায়।
জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, বাজারে বেচাবিক্রি কমে গেছে। ব্যবসায়ীদের দোকান গুদামে পর্যাপ্ত পণ্য রয়েছে। বিপরীতে চাহিদা নেই। তাই দাম কমছে।
চাক্তাই আফরা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আলাউদ্দিন আলো বলেন, কাঁচাপণ্যের বাজারে দাম একটু বাড়লে সিন্ডিকেট কারসাজির অভিযোগ করা হয়। আসলে কাঁচাপণ্য বেশিদিন মজুদ রাখা যায় না। এতে পণ্যের গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায়। এখন যেমন সরবরাহ বাড়ার কারণে বাজারে দাম পড়তির দিকে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, আমাদের দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভর করে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে, এই ঘোষণার সাথে সাথে দেশে পেঁয়াজের দাম কমে যায়। আবার উল্টো দিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হবে এমন খবরে বাজার বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা আসলে পেঁয়াজ, আদা ও রসুন থেকে যা মুনাফা করার করে ফেলেছে। মাঝে মাঝে পত্রিকায় লেখালেখি হলে দাম কিছু কমিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। দাম বাড়ে ২০ টাকা কিন্তু কমার সময় কমে ৫ টাকা। তাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং করাটাই হচ্ছে একমাত্র সমাধান। প্রশাসনকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।