জুমবাংলা ডেস্ক : ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে কমতে শুরু করেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম। প্রকার ভেদে তিনদিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ২ থেকে ৫ টাকা এবং খুচরা বাজার ৩ থেকে ৫ টাকা।
সোমবার (৪ জুলাই) সকালে ফুলবাড়ী পৌর বাজারের পেঁয়াজপট্টি ঘুরে দেখা যায়, বুধবার (২৯ জুন) পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে। একই পেঁয়াজ খুচরা বাজার বিক্রি হয়েছিল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে কেজিদরে। সোমবার একই পেঁয়াজের দাম কমে গিয়ে পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে প্রকার ভেদে ২৭ টাকা থেকে ২৯ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজিতে। হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরছে সাধারণ ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে।
পেঁয়াজ কিনতে হিলি বাজারে আসা খন্দকার মেহেদী হাসান সাজু বলেন, পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। তিনদিন আগেও ৪০ টাকা কেজিদরে কিনতে হয়েছে। আজ সেই পেঁয়াজ ৩২ টাকায় পাওয়া গেল।
ফুলবাড়ী পৌর বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা শ্যামল চন্দ্র, মন্টু মিয়া ও সুব্রত সরকার বলেন, বাজারের পেঁয়াজ, রসুনসহ বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম আমদানি নির্ভর। ভারত থেকে পাইকারি ব্যবসায়িরা ওইসব পণ্য আনতে পারলে বাজার কম হয়, আর না আনলে বাজার চড়া হয়। বর্তমানে পেঁয়াজের আমদানি হওয়ায় দাম অনেক কমে গেছে। ক্রেতারাও তাদের চাহিদানুযায়ী পেঁয়াজ ক্রয় করছেন।
ফুলবাড়ী পৌর বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মিলন মিয়া, কালুকান্ত দত্ত ও আমজাদ হোসেন বলেন, ভারত থেকে হাকিমপুরের হিলিতে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কথা শুনে তিনদিনেই বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। আর এই আমদানির কথা শুনে বাহির থেকে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কিনতে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। যার জন্য দেশি পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে।
হাকিমপুরের হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হলে পবিত্র কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক থাকবে।
চালু হচ্ছে ৬ লেনের কালনা সেতু, ঢাকা-কলকাতার দূরত্ব কমবে ২০০ কি.মি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।