লাইফস্টাইল ডেস্ক : যখন ক্লান্তি ভর করে, কাজে মন বসে না; তখন এক কাপ কফি পান করলে দেহমনে একধরনের প্রাণের সঞ্চার হয় তাৎক্ষণিকভাবে। কিন্তু ক্যাফেইনের এই বিক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে কফির অ্যান্টি–অক্সিডেন্টগুলো শরীরে বেশ কিছু উপকারী প্রভাব ফেলে। তবে সে জন্য কফি বিন হতে হবে ভালো মানের, তাজা ও খাঁটি।
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী অনেকেই ভাবেন, চা-কফি পান করা বদভ্যাসের মধ্যে পড়ে। গুচ্ছের দুধ, চিনি, ক্রিম আর বিভিন্ন কৃত্রিম ফ্লেভার দিলে অবশ্য কফির উপকারিতা বিলীন হয়ে যায় অনেকটা। কিন্তু সঠিকভাবে রোস্ট করা মানসম্মত কফি বিন আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস আর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট এই দূষণে পূর্ণ পৃথিবীর বদৌলতে শরীরে যে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়, তা থেকে রক্ষা করে। আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন কিন্তু এখন তা–ই বলছে।
এর পরদিন আরাম করে এক কাপ কফি উপভোগ করার সময় যদি কেউ না জেনে কফির বিরুদ্ধাচরণ করেন, তাহলে নিচের তথ্যগুলো তাঁকে শুনিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
১. আয়ু বাড়াতে পারে কফি
২০১৭ সালে বিশাল জনগোষ্ঠীর ওপরে করা এক সমীক্ষা বলে, কফি পান করেন এমন ব্যক্তিদের আয়ু বেশি হয় কফির ধারেকাছে না যাওয়া মানুষের চেয়ে। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে এ নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। তবে দিনে ৪০০ মিলিগ্রামের চেয়ে বেশি কফি গ্রহণ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২. ক্যানসারের ঝুঁকি কমে কফিতে
প্রোস্টেট, অণ্ডকোষসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি নিয়মিত কফি গ্রহণ করলে কমতে পারে। নানা ধরনের স্নায়বিক বা শারীরবৃত্তীয় সমস্যাও রোধ করে কফি।
৩. কফি ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে
গবেষণা বলছে, নিয়মিত কফি পান ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। তবে তা হতে হবে দুধ–চিনি ছাড়া। ক্যাফেইনের এই ক্ষমতা চমকপ্রদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন জার্নালে।
৪. যকৃত ভালো রাখে কফি
যাঁরা কফি পান করেন, তাঁদের ফ্যাটিলিভার বা লিভারে চর্বি জমার প্রবণতা কমে যায় বলে বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে। লিভার সিরোসিস, লিভারের ফাইব্রয়েড বা লিভারের সংক্রমণ হওয়া থেকে কফি বাঁচাতে পারে আমাদের।
৫. পারকিনসন্স ও আলঝেইমার্স রোগ রুখতে পারে কফি
গবেষণা বলছে, পারকিনসন্স ও আলঝেইমার্স রোগ প্রতিরোধ করে নিয়মিত কফি পানের অভ্যাস। ডিপ্রেশনও কমিয়ে আনে কফি।
৬. হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখতে পারে কফি
বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমীক্ষায় হৃদ্রোগ হওয়ার প্রবণতা কম দেখা গেছে কফিপ্রেমীদের মধ্যে। আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজির জার্নালে সাম্প্রতিক এক নিবন্ধে দেখা গেছে, করোনারি হার্টের রোগ তাঁদের কম হয়, যাঁরা নিয়মিত কফি পান করেন। তবে তা হতে হবে পরিমিত পরিমাণে।
সাবধানতা
অন্তঃসত্ত্বা বা দুগ্ধদানকারী মা, গ্যাস্ট্রিকের রোগী বা যাঁদের মাইগ্রেন আছে, তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কফি পান করা উচিত।
তথ্যসূত্রঃ ফোর্বস হেলথ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।