লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রেগন্যান্সি বা গর্ভাবস্থা অন্যান্য সময়ের মতো নয়। এসময় হবু মায়ের শরীরে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। শুধু শারীরিক গঠনই পরিবর্তন হয় না, বরং মানসিক অবস্থারও পরিবর্তন ঘটে। আবার শরীরে কোনো না কোনো সমস্যা লেগেই থাকে যেন। নতুন একজন মানুষ নিজের ভেতরে পূর্ণাঙ্গ করে পৃথিবীতে নিয়ে আসা তো সহজ কথা নয়! এই কষ্ট কেবল মায়েরাই বুঝতে পারেন। গর্ভাবস্থায় অন্যান্য আরও অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার মতো ক্লান্তিও বেশ পরিচিত সমস্যা। এটি অনেক কারণেই ঘটতে পারে। তবে ক্লান্তি দূর করার জন্য কিছু কাজ করতে হবে-
১. বিশ্রামকে অগ্রাধিকার দিন
আপনার শরীরের কথা শুনুন। যদি আপনি ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে প্রয়োজনে একটু ঘুমান বা বিশ্রাম নিন। প্রতি রাতে কমপক্ষে ৮-৯ ঘণ্টা মানসম্পন্ন ঘুমের লক্ষ্য রাখুন। ছোট বিরতি নিন। সারাদিন ধরে রিচার্জ করার জন্য ছোট ঘুম বা শান্ত মুহূর্ত অন্তর্ভুক্ত করুন।
২. সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন
পুষ্টির উপর মনোযোগ দিন। পুষ্টিকর খাবার শক্তির স্তরে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। দানাশস্য, চর্বিহীন প্রোটিন, ফল, শাক-সবজি এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি খান। আয়রন এবং ফোলেট গ্রহণ বৃদ্ধি করুন। পালং শাক, মসুর ডাল, মটরশুটির মতো খাবার রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সহায়তা করে। শোষণ বাড়ানোর জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে কমলা বা বেল পেপারের মতো ভিটামিন সি উৎস যুক্ত করুন। ডিহাইড্রেশন ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে। তাই সারাদিন প্রচুর পানি পান করা অপরিহার্য।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম
হাঁটা, প্রসবপূর্ব যোগব্যায়াম, অথবা সাঁতারের মতো হালকা শারীরিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করলে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। হালকা ব্যায়াম কেবল ক্লান্তি মোকাবিলায়ই সাহায্য করে না বরং ভালো ঘুমেরও উন্নতি করে এবং চাপ কমায়।
৪. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, ধ্যান বা মননশীলতার মতো শিথিলকরণ কৌশল অনুশীলন করলে মানসিক চাপ কমতে পারে। সঙ্গী, বন্ধুবান্ধব বা কোনো প্রিয়জনের সঙ্গে উদ্বেগ শেয়ার করলে তা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৫. দৈনন্দিন রুটিন সামঞ্জস্য করুন
শক্তি নিঃশেষ করে এমন কার্যকলাপে অতিরিক্ত ব্যস্ততা এড়িয়ে চলুন। ঘরের কাজগুলো ভাগ করে নিন এবং নিজেকে বিশ্রামের জন্য সময় দিন। বড় কাজগুলোকে ছোট, পরিচালনাযোগ্য পর্বে ভাগ করে নিন এবং মাঝে মাঝে বিরতি নিন।
নাটোরর নলডাঙ্গায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই স্কুল শিক্ষার্থী নিহত
৬. ক্যাফেইন সীমিত করুন
গর্ভাবস্থায় অল্প পরিমাণে ক্যাফেইন (প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রাম বা তার কম) নিরাপদ বলে মনে করা হলেও, অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং আরও বেশি ক্লান্তি হতে পারে।
৭. ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন
যদি ক্লান্তি তীব্র বা স্থায়ী হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি রক্তস্বল্পতা, থাইরয়েড রোগ বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের মতো অন্তর্নিহিত সমস্যার জন্য পরীক্ষা করতে পারেন এবং উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।