লাইফস্টাইল ডেস্ক : আবহাওয়ার পরিবর্তনে দেখা দেয় বিরক্তিকর খুসখুসে কাশি। একে বলা হয় ড্রাই কফ বা শুকনো কাশি। এ ধরনের কাশির ফলে গলায় ও বুকে একটি অস্বস্তি লেগেই থাকে। আর এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শুধু মাত্র ওষুধের ওপর ভরসা না করে প্রাকৃতিক উপায়েও এ শুকনো কাশির প্রতিকার করা যায়।
কাশির সমস্যায় একটি অব্যর্থ নিরাময় রয়েছে রসুন ও ঘি-য়ে। রসুন একটি মসলা জাতীয় খাদ্য উপাদান। রান্নার স্বাদকে বাড়ানোর ক্ষেত্রে শুধু নয়, রসুনের পুষ্টিগুণ রসুনকে পৌঁছে দিয়েছে মসলার অন্যতম তালিকার মধ্যে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি জাতিই রসুনকে বিভিন্ন রোগ নিরায়মের জন্য ব্যবহার করে আসছে।
রসুনে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ময়েশ্চার, প্রোটিন, ফ্যাট, মিনারেল ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট। ভিটামিন ও মিনারেলের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, থিয়ামিন, রিবোফ্লোভিন, ভিটামিন সি। এছাড়া রসুনে আয়োডিন, সালফার ও ক্লোরিনও রয়েছে অল্প পরিমাণে। খালি পেটে রসুন খেলে বিভিন্ন রোগ দূর হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধও গড়ে তোলা যায়। আর ঘি, যা পরিষ্কার মাখন, সাধারণত কাশিসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যের অবস্থার চিকিৎসার জন্য ঐতিহ্যগত আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যবহৃত হয়। ঘি কাশি প্রশমিত করতে এবং শ্বাসতন্ত্রকে লুব্রিকেট করতে সাহায্য করতে পারে।
চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কাশির সমস্যায় রসুন-ঘি এর ব্যবহার:
উপকরণ
রসুন
ঘি
প্রস্তুত ও ব্যবহার প্রণালি
৫ কোয়া রসুনকে থেঁতলে সামান্য ঘিয়ের মধ্যে হালকা ভেজে খেয়ে ফেলুন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারে কিছুদিন আগেও সাধারণ সর্দি ও কাশি সারাতে রসুনের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও সবসময় একটি পানির বোতল রাখুন। গলা শুকিয়ে এলেই পানি পান করুন। গলা শুকনো থাকলেই কাশির উদ্রেক করে। পানি পান করলে কাশি আসবে না। সেই সঙ্গে নাক ও মুখ দিয়ে গরম পানির ভাপ নিন। এতে গলায় ও বুকে বসে যাওয়া শুকনো মিউকাস তরল হবে এবং কাশি দ্রুত ভালো হতে সাহায্য করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।