জুমবাংলা ডেস্ক : রেকর্ডসংখ্যক পরিবেশবান্ধব সবুজ গার্মেন্টস কারখানা এখন বাংলাদেশে। প্রায় এক যুগ আগে রপ্তানিপ্রধান এ খাতে পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সংখ্যা ছিল মাত্র একটি। সেই সংখ্যা বেড়ে এখন ২৪৩টিতে দাঁড়িয়েছে। খাতের উদ্যোক্তারা জানান, সবুজ কারখানা তৈরি পোশাক পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে বড় অবদান রাখছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, আরো তিনটি পোশাক কারখানা সুবজ কারখানার (গ্রিন ফ্যাক্টরি) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফলে দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৩টিতে।
নতুন করে তালিকায় যুক্ত কারখানা তিনটি হলো- গাজীপুরের তাসনিয়া ফেব্রিক্স লিমিটেড এডমিন ভবন, তাসনিয়া ফেব্রিক্স লিমিটেড আরএমজি বিল্ডিং ও টাঙ্গাইলের কমফিট গোল্ডেন লিফ।
ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) তথ্যমতে, দেশের ২৪৩টি সবুজ কারখানার মধ্যে প্লাটিনাম ক্যাটাগরির ১০১টি, গোল্ড ১২৮টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড ক্যাটাগরির চারটি।
এ ছাড়া ৫৫০টির বেশি কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরি হতে রেজিস্ট্রেশন বা পাইপলাইনে রয়েছে।
এর আগে সর্বশেষ সবুজ কারখানায় তালিকাভুক্ত তিন কারখানা হলো কালীয়াকৈরের ইকোটেক্স লিমিটেড, বোর্ড বাজারের এলিট গার্মেন্টস ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড ও শ্রীপুরের ইউরো নিট স্পিন লিমিটেড।
ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (এলইইডি) গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সার্টিফিকেশন দিয়ে থাকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে অন্তত ২৬টি পোশাক কারখানা সবুজ কারখানায় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় বলে জানায় বিজিএমইএ-এর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
আর নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ১১টি পোশাক কারখানা সবুজ কারখানার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সবুজ কারখানার তালিকায় বাংলাদেশের পরের অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।