স্পোর্টস ডেস্ক: আইপিএলের প্রথম মৌসুমেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন হরভজন সিং। সেই সময়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের হয়ে আইপিএলে খেলতেন তিনি। সেই আসরে এক ম্যাচের শেষে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের শ্রীশান্তকে চড় কষিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার ১৪ বছর পরে অবশেষে সেই ‘স্ল্যাপগেট’ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন হরভজন সিং। তিনি জানালেন, এই কাজ করা তার অত্যন্ত অন্যায় হয়েছিল।।
২০০৮ সালের আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ম্যাচ ছিল সেটি। নিয়মিত অধিনায়ক শচীন টেন্ডুলকারের অনুপস্থিতিতে সেদিন মুম্বাইয়ের নেতৃত্বে ছিলেন হরভজন। মোহালিতে হওয়া ম্যাচটি ৬৬ রানে জিতেছিল পাঞ্জাব। মুম্বাইয়ের এক ব্যাটসম্যানকে আউটের পর শ্রীশান্তের আগ্রাসী উদযাপন পছন্দ হয়নি হরভজনের। ম্যাচের পর দুজনের মুখোমুখি দেখা হতেই শ্রীশান্তকে চড় মেরে বসেন হরভজন।
টিভি ক্যামেরায় অবশ্য ধরা পড়েনি এই দৃশ্য। তবে দর্শকদের কেউ কেউ তা দেখেন। পরে শ্রীশান্তের কান্নার ছবিও ছড়িয়ে পড়ে। ক্রিকেট উপস্থাপক বিক্রম সাথায়ের সঙ্গে সম্প্রতি ‘গ্লান্স লাইভ ফেস্ট’ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছিলেন আলোচিত ঘটনার সেই দুই চরিত্র হরভজন ও শ্রীশান্ত। সেখানেই ১৪ বছর আগের সেই ওই ঘটনায় এখন অনুতপ্ত বলে জানান হরভজন।
তিনি বলেন, যেটা ঘটেছিল তা ভুল ছিল, আমি ভুল করেছিলাম। কারণ নিজের জন্য আমি সতীর্থকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছিলাম। আমি নিজেও বিব্রত ছিলাম। যদি আমি কোনো ভুল সংশোধন করতে পারতাম, তাহলে সেটা হতো, শ্রীশান্তের সঙ্গে সেদিনের মাঠের ওই আচরণ। এমন কিছু কোনোভাবেই ঘটতে পারে না। যখন আমি এটা ভাবি, আমি অনুভব করি এর কোনো প্রয়োজন ছিল না।
সেই ঘটনার পর আসরের বাকি অংশের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় হরভজনকে। আইপিএল কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞায় সেবার কোনো পারিশ্রমিক দাবি করতে পারেননি এই অফ স্পিনার। পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) তাকে ৫ ওয়ানডের জন্য নিষিদ্ধ করে। তাই খেলতে পারেননি বাংলাদেশ (ত্রিদেশীয় সিরিজ) ও পাকিস্তান (এশিয়া কাপ) সফরে। যদিও এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচের পর খেলতে পারতেন তিনি, কিন্তু নির্বাচকরা তাকে বিবেচনায় নেননি।
আগামী ৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকলেই নতুন যে বিশ্বরেকর্ড গড়বে আর্জেন্টিনা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।