বিনোদন ডেস্ক : কঙ্গনা রানাওয়াত বলিউডের কুইন নামেই বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তার অভিনয় ও ফিটনেস দেখে মুগ্ধ হয় ভক্তকূল। বরাবরই তিনি ছিপছিপে গড়নের অধিকারী, তার শরীরে মেদ নেই বললেই চলে।
তবে কয়েক বছর আগে চরিত্রের প্রয়োজনে এই অভিনেত্রী এক বা দুই কেজি নয় ২০ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন। এএল বিজয় পরিচালিত ‘থালাইভি’ নামক সিনেমায় বহুরুপী চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন কাড়েন অভিনেত্রী।
সিনেমার জন্য ওজন বাড়ালেও পরবর্তী সময়ে তা কমানোর জন্য নিয়মিত অনুশীলনও করেছেন তিনি। এরপর কয়েক মাসের মধ্যেই শরীরের অতিরিক্ত ২০ কেজি ওজন কমিয়ে আবারও ঝরঝরে হয়ে দর্শকদের মাঝে দেখা দেন গুণী এ অভিনেত্রী।
এবার চরিত্রের প্রয়োজনে আবারও কিছুটা ওজন বাড়াতে একটানা ২ বছর শরীরচর্চা থেকে বিরত ছিলেন এই অভিনেত্রী। তার নতুন সিনেমা ‘মিসেস গান্ধী’, এর জন্যই এতোদিন শরীরচর্চা থেকে বিরত ছিলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঙ্গনা একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
সেখানে তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘মিসেস গান্ধী চরিত্রে অভিনয় করার জন্য ওয়ার্কআউট রুটিন থেকে দুই বছর বিরতির পর এখন আমি আবার ফিটনেস রুটিনে ফিরেছি। এবার একটি অ্যাকশন চলচ্চিত্রের জন্য একটি দুর্দান্ত রূপান্তরের অপেক্ষায় আছি।’
কঙ্গনার ওয়ার্কআউট রুটিন:
পাইলেটস: পাইলেটস হলো বলিউড সেলিব্রিটিদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়ার্কআউট। নিজেকে ফিট রাখতে ও টোনড করার জন্য কঙ্গনা পাইলটস করতেন।
এছাড়া এর সঙ্গে তিনি আরও একটি অনুশীলন করেন। আপনি যদি আপনার অ্যাবস না বানিয়েও যদি ফিট থাকতে চান, তবে পাইলেট প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
জাম্পিং জ্যাকস: এ ব্যায়াম খুবই কার্যকরী। এটি শরীরকে ওয়ার্ম আপ করে দ্রুত। এ কারণে ক্যালোরিও পোড়ে অনেক। এ ব্যায়ামটি করলে হাতের পেশি যেমন- বাইসেপস ও ট্রাইসেপসকে মজবুত করতে অনেক সহায়তা করে। এছাড়া হাঁটা, দৌঁড়ানো ও সাঁতার কাটা ইত্যাদি নিয়মিত করতেন কঙ্গনা।
একই সঙ্গে সারাদিনে প্রচুর পানি পান করেন এ অভিনেত্রী। হালকা ক্ষুধা পেলে ফল, বাদাম ও জুস খান তিনি। কঙ্গনা যে ডায়েট অনুসরণ করেন, সেটি হলো ‘ক্যালোরি ঘাটতি ডায়েট’।
এটি শক্তি ঘাটতি ডায়েট হিসেবেও পরিচিত। এ ডায়েটটি কেমন? শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য খাবার আমাদের শরীরে ক্যালোরি আকারে শক্তিতে পূর্ণ করে। তবে প্রায়শই আমরা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্যালোরি খাই ও এ অতিরিক্ত ক্যালোরিগুলো ফ্যাট আকারে জমা হতে শুরু করে।
আপনি যদি মেদ কমাতে চান, তাহলে এ ডায়েট অনুসরণ করতে পারে। এটি উরু, পেট, হিপ ও শরীরের অন্যান্য অংশগুলোতে সঞ্চিত অতিরিক্ত ফ্যাট পোড়াতে সহায়তা করবে। আপনি যখন কম ক্যালোরিযুক্ত ডায়েট নিতে শুরু করবেন, তখন দেহ সঞ্চিত শক্তির উত্স হিসেবে পুড়িয়ে দেবে। ফলে ওজন কমবে দ্রুত।
কঙ্গনা এ ডায়েটটি অনুসরণের ক্ষেত্রে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার- যেমন শসা, লেটুস, ধনে পাতা, পেঁয়াজ, পেঁপে, বেরি, টমেটো, ফুলকপি, আপেল, সবুজ শাক, গাজর ইত্যাদি বেছে নেন। কাঁচা বা সেদ্ধ শাকসবজি খান।
পাশাপাশি তিনি প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেজযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলেন। কঙ্গনার মতে, ‘ওজন কমানোর জন্য শুধু কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেলেই হবে না বরং দৈনিক অন্তত ৬০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটা-চলা বা শারীরিক অনুশীলন করতে হবে।’ সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।