Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশকে যে দৃষ্টিতে দেখছে ভারত
    আন্তর্জাতিক ওপার বাংলা

    শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশকে যে দৃষ্টিতে দেখছে ভারত

    Shamim RezaSeptember 5, 202411 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকায় শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও প্রধানমন্ত্রীর দেশ ছাড়ার ঠিক দিন ১৫ আগের কথা। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত কোটা পদ্ধতি বাতিল করার ঠিক পরদিন দিল্লিতে প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র সম্পাদকীয়র শিরোনাম ছিল ‘ডিসটার্বিং ইন ঢাকা’। খবর বিবিসি’র।

    Hasina

    ওই সম্পাদকীয়তে আরও লেখা হয়েছিল, “কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে যে সহিংসতা দেখা যাচ্ছে, তা আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী ও স্বৈরাচারী রাজনীতিরই উপসর্গ। ভারতের এখন সময় এসেছে হাসিনার পর কী, তা নিয়ে ভাবার!” (‘ইন্ডিয়া মাস্ট থিংক বিয়ন্ড হাসিনা’)।

    বিগত দেড় দশক ধরে ভারতের বাংলাদেশ নীতি আর শেখ হাসিনা যেভাবে প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছিল, তাতে দিল্লির একটি মূল ধারার শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ভারতকে ‘বিয়ন্ড হাসিনা’ ভাববার পরামর্শ দিচ্ছে – সেটা তখনও কিন্তু প্রায় অকল্পনীয় ছিল।

       

    ওই সম্পাদকীয় প্রকাশিত হওয়ার ঠিক দু’সপ্তাহের মাথায় ঢাকায় নাটকীয় পটপরিবর্তনের মাধ্যমে ভারতকে কিন্তু এখন ঠিক সেটাই করতে হচ্ছে – বা বলা ভাল, হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশে ভারত কী কৌশল নিয়ে এগোবে – দিল্লি সেটা ভাবতে বাধ্য হচ্ছে।

    শেখ হাসিনা চিরকাল ঢাকার ক্ষমতায় থাকবেন না, এটা জানা থাকলেও সেই দিন যে এত তাড়াতাড়ি আসবে ভারত আসলে তা ভাবতেই পারেনি।

    টাইমস অব ইন্ডিয়ার ওই সম্পাদকীয় থেকে আরও কিছুটা অংশ উদ্ধৃত করা যাক : “আজকের বাংলাদেশ আসলে গণতন্ত্রের মৌলিক চেক-বক্সগুলোতে টিক দিতেই ব্যর্থ হয়েছে – যেগুলো হল একটি কার্যকরী বিরোধী পক্ষ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন এবং নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচারবিভাগ।

    আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান জনরোষ ভারতের জন্যও একটি নিরাপত্তাগত দ্বিধা বা সংকট তৈরি করেছে।”

    “আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে অপসারিত হলে তার জায়গায় একটি পাকিস্তান-সমর্থিত সরকার আসুক, ভারত আর যাই হোক এটা কোনও মতেই চাইবে না। ফলে তাদের এখনই দিশা পাল্টাতে হবে, নিজেদের স্ট্র্যাটেজিক স্বার্থ রক্ষা করতেই বাংলাদেশের সমাজের প্রতিটি শ্রেণির কাছেই তাদের রিচ আউট করতে হবে।”

    ভারতে ক্ষমতার অলিন্দে শীর্ষ কর্মকর্তারা একান্ত আলোচনায় মেনে নিচ্ছেন, তখন এ সতর্কবার্তা অনেকটা ‘প্রোফেসি’ বা ভবিষ্যদ্বানীর মতো শোনালেও, ওই সম্পাদকীয়র প্রায় প্রতিটি কথা এখন অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে।

    ফলে ভারতকে এখন তড়িঘড়ি সে দেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের সেতুগুলো তৈরি করতে হচ্ছে। দিল্লি বোঝার চেষ্টা করছে, সেই সরকারে কাদের প্রভাব বেশি, এবং সেই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগুলোকে তারা আদৌ চেনেন কি না!

    পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ আপাতত অন্ধকার, এটাও বোঝা যাচ্ছে দিব্বি। সে বাস্তবতা থেকেই বিকল্প কোন রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা যেতে পারে এবং সেটা কীভাবে – ভাবতে হচ্ছে তা নিয়েও।

    বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর সে দেশে জামায়াত বা হেফাজতে ইসলামের মতো ইসলামী শক্তিগুলোর দাপট ও রমরমাও ভারতের জন্য একটা উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।

    তা ছাড়া গত কয়েক বছরে ভারতের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে শত শত কোটি টাকা লগ্নি করেছে, এই সংকটের মুহুর্তে সে বিনিয়োগ কীভাবে আর কতটা রক্ষা করা সম্ভব – সেটাও ভারতের আর একটা বড় দুশ্চিন্তা!

    এই ধরনের বহু প্রকল্পের কাজ এখন থমকে আছে।

    এবং সর্বোপরি ‘গোদের ওপর বিষফোঁড়া’র মতো ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা আজ এক মাস হল ভারতের মাটিতেই অবস্থান করছেন – কর্মকর্তারাই এখন একান্তে স্বীকার করছেন নানা কারণে ভারত তাকে “না পারছে গিলতে, না পারছে ওগরাতে!”

    সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ঠিক এক মাস আগের নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহ কূটনৈতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক – দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিকেই ভারতকে এক অপ্রত্যাশিত সংকটে ফেলেছে। দিল্লি এই মুহুর্তে ঠিক কীভাবে সেগুলো সামলানোর চেষ্টা করছে – এই প্রতিবেদনে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে সেটাই!

    অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ‘পরিচয়’

    বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা কতটা, তা নিয়ে সে দেশের ভেতরেও হয়তো প্রশ্ন উঠছে– তবে ভারত কিন্তু ওই সরকারকে স্বীকৃতি দিতে কয়েক মিনিটের বেশি সময় নেয়নি।

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূস গত আট অগাস্ট শপথ নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে নতুন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য তাকে শুভেচ্ছা জানান।

    দুই দেশের মানুষের ‘স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে’ একযোগে কাজ করতে ভারত যে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবে, ওই পোস্টে সে কথাও জানান মি মোদী। এর কিছুদিন পরে ভারত যে ‘গ্লোবাল সাউথে’র শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করেছিল, তাতেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মুহাম্মদ ইউনূসই যোগ দেন এবং সভায় ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন। পরে দু’জনের মধ্যে টেলিফোনে কথাবার্তাও হয়েছে।

    ফলে ভারতের চোখে বাংলাদেশের নতুন সরকারপ্রধান যে তিনিই, এ নিয়ে কখনোই দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবকাশ ছিল না। শুধু এই নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়া নয়, শেখ হাসিনা যে বাংলাদেশের জন্য ‘অতীত’ – সেটাও গত এক মাসে ভারত বারেবারেই বুঝিয়ে দিয়েছে।

    গত ছয়ই অগাস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পার্লামেন্টে জানান, ‘আপাতদৃষ্টে’ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েই ভারতে এসেছেন। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও একাধিকবার শেখ হাসিনাকে ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ করেছেন।

    সুতরাং ঢাকা থেকে শেখ হাসিনার বিদায়পর্ব যতই বিতর্কিত বা রহস্যে ঘেরা হোক – ভারত কিন্তু সে দেশের নতুন বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে নতুন সরকারের সঙ্গেই সম্পর্ক গড়ার কাজে হাত দিয়েছে।

    গত সপ্তাহে দিল্লিতে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্ক নানা ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গেছে – কিন্ত ঢাকাতে যখন যে সরকার ক্ষমতায়, দিল্লি তাদের সঙ্গেই সম্পর্ক রেখে চলবে ‘এটাই স্বাভাবিক’!

    সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, “আমাদের এটাও মেনে নিতে হবে যে রাজনৈতিক পরিবর্তন হবেই এবং এই ধরনের পরিবর্তন কখনও কখনও ‘ডিসরাপ্টিভ’ হবে। সেরকম ক্ষেত্রে আমাদের স্পষ্টতই দেখতে হবে কোথায় আমাদের পারস্পরিক স্বার্থের মিল হচ্ছে।”

    ফলে বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গেও ভারতের ‘স্বার্থ’ কোথায় কোথায় মিলতে পারে, দিল্লি এখন সেই ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার ওপরেই জোর দিচ্ছে। আর তারও আগে চলছে নতুন সরকারকে ভাল করে চেনাজানার পালা।

    সাউথ ব্লকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলছিলেন, “আসলে সত্যি কথা বলতে কী, এই নতুন সরকারের উপদেষ্টা বা নীতিনির্ধারকদের অনেককেই আমরা ভাল করে চিনি না। কীভাবে তারা সরকারে এলেন, কে তাদের নাম সুপারিশ করল সেটাও খুব ভাল জানি না।”

    “এমন কী, মুহাম্মদ ইউনূসকেও যে পুরোটা জানি বা বুঝি সেটাও দাবি করতে পারি না। কাজেই বলতে পারেন, শুরুর এই দিনগুলোতে আমরা তাদের ভাল করে চেনার ও বোঝার ওপরেই জোর দিচ্ছি।”

    দিনকয়েক আগে ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যান, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিন্তু সেই সাক্ষাৎ-কেও ‘পরিচিতিমূলক’ বলেই বর্ণনা করেছিল। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, গত এক মাস ছিল দু’পক্ষের আলাপ-পরিচয়ের পর্ব – যা এখনও বেশ কিছুদিন চলবে ধরেই নেয়া যায়।

    বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ?

    গত প্রায় দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে ভারতের বিরুদ্ধে একটা প্রধান অভিযোগ ছিল, তারা শুধু শাসক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গেই সম্পর্ক রেখে চলেছে এবং ‘আওয়ামী প্রিজম’ দিয়েই বাংলাদেশের সব কিছুকে দেখার চেষ্টা করেছে।

    মজার বিষয় হল, দিল্লিও কিন্তু এই অভিযোগ কখনও পুরোপুরি অস্বীকার করেনি। বরং তারা আত্মপক্ষ সমর্থনে বলার চেষ্টা করেছে, যে সব দল চিরকাল ভারত-বিরোধিতার রাজনীতি করে এসেছে কিংবা যাদের ট্র্যাক রেকর্ড বলে তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে – তাদের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক গড়া সম্ভব?

    তা ছাড়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পার্টি বা বিএনপি সম্পর্কে ভারতের আর একটা বক্তব্য ছিল, যতদিন না তারা সুস্পষ্টভাবে জামায়াত-ই-ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ করছে ততদিন তাদের সঙ্গেও ভারতের কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে না।

    আসলে জামায়াতের রাজনৈতিক বা ধর্মীয় মতাদর্শ ভারতের কাছে এতটাই ‘অস্পৃশ্য’ যে জামায়াতের কোনও রাজনৈতিক সঙ্গী বা শরিককেও বিশ্বাস করা ভারতের পক্ষে সম্ভব নয় – মোটামুটি এ যুক্তিটাই দিল্লির থিঙ্কট্যাঙ্ক সার্কিটে ও অ্যাকাডেমিয়াতে এতদিন ধরে দেয়া হত।

    তবে ঢাকায় গত এক মাসের ঘটনাক্রম ভারতের জন্য বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ গড়ে তোলার পথ প্রশস্ত করেছে বলেও অনেক পর্যবেক্ষকই মনে করছেন।

    বিশেষ করে, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে যেভাবে সম্প্রতি নানা ইস্যুতে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে, সেটাকেও ভারতের নীতিনির্ধারকরা ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে দেখছেন। ‘জামায়াত-মুক্ত’ বিএনপি-র সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গড়ার কাজ অনেক সহজ হতে পারে বলেও তাদের অভিমত।

    আর একটা বিষয় হল, বিএনপি নেতৃত্বের সঙ্গে সব পর্যায়ে ভারতের সব ধরনের যোগাযোগ এতদিন ধরে সম্পূর্ণ স্তব্ধ ছিল, এটাও ঠিক নয় – বলে ভারতের অনেক বিশ্লেষকই জানাচ্ছেন। সব সময় প্রকাশ্যে না-হলেও যোগাযোগের কিছু চ্যানেল চালু ছিল বলে তাদের দাবি।

    সম্ভবত এরকমই একজন হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জিয়া পরিবারের আস্থাভাজন নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ – দীর্ঘ প্রায় এক দশক ভারতে কাটিয়ে যিনি সদ্যই বাংলাদেশে ফিরে গেছেন।

    শেখ হাসিনার পতনের দু-চারদিন পরেই, মি. আহমেদের বাংলাদেশে ফেরার ঠিক আগে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে তার দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা হয়।

    লক্ষণীয় বিষয় হল, ভারতে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশে’র সব মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পরও তিনি যে বছরের পর বছর দেশে ফিরতে পারেননি, সেজন্য তিনি সেদিন একবারও কিন্তু দিল্লিকে দোষারোপ করেননি – বরং যাবতীয় দায় চাপিয়েছিলেন শেখ হাসিনা সরকারের ওপরেই।

    পাশাপাশি ভারতে তার সুদীর্ঘ ‘প্রবাসজীবনে’ ভারত সরকার যেভাবে সহযোগিতা করেছে, শিলংয়ে তার গেস্টহাউসে স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের এসে নিয়মিত দেখা করার সুযোগ করে দিয়েছে, কিংবা দিল্লিতে গিয়ে চিকিৎসা করানোরও অনুমতি দিয়েছে – তাতে তিনি যে ভারতের প্রতি এক ধরনের কৃতজ্ঞ, কথাবার্তায় মি আহমেদ সেটাও গোপন করেননি।

    ভারতের পর্যবেক্ষকরা কেউ কেউ মনে করছেন, এহেন সালাউদ্দিন আহমেদ আগামী দিনে ভারতের সঙ্গে বিএনপি-র সেতু রচনার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। তবে বিএনপি-র সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হলে দীর্ঘদিনের বন্ধু আওয়ামী লীগের সম্পর্কে ভারতের মনোভাব কী হবে?

    “এটা তো আর কোনও ‘বাইনারি’ নয়, যে একটা থাকলে অন্যটা থাকতে পারবে না! ভারত অবশ্যই চাইবে সে দেশের পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যাতে অংশ নেয় এবং সেখানে একটা সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ থাকে”, জানাচ্ছেন দিল্লিতে একজন প্রথম সারির কর্মকর্তা।

    দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পের ভবিষ্যৎ

    গত ২৭শে অগাস্ট ভারতের প্রথম সারির অর্থনৈতিক পত্রিকা ‘দ্য ইকোনমিক টাইমসে’র এক রিপোর্টে জানানো হয়, ভারতের পাঁচটি বিদ্যুৎ সংস্থার বাংলাদেশের কাছে মোট বকেয়া অর্থের পরিমাণ এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে, একা ‘আদানি পাওয়ারে’রই ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে ৮০ কোটি ডলার পাওনা ছিল বলে বলা হয়। এই সংস্থাটি ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় অবস্থিত তাদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনের পুরোটাই বাংলাদেশে রপ্তানি করে থাকে।

    এছাড়াও এসইআইএল এনার্জি, পিটিসি ইন্ডিয়া, এনটিপিসি (ডিভিসি ও ত্রিপুরা) ও পাওয়ার গ্রিডের মতো আরও বিভিন্ন সংস্থারও বাংলাদেশের কাছে কোটি কোটি ডলার পেমেন্ট বাকি রয়ে গেছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়।

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা যে এই অর্থ পরিশোধের সম্ভাবনাকে ব্যাহত করতে পারে, সেই আশঙ্কার কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল ওই প্রতিবেদনে।

    ইতোমধ্যে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও জানিয়েছেন, গত পাঁচই অগাস্টের পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারতের প্রায় সব দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পের কাজ থমকে গেছে, কর্মীরাও অনেকে ভারতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। “পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে” এই প্রকল্পগুলোর কাজ যে চট করে আবার শুরু হচ্ছে না, সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

    জানা যাচ্ছে, এরই মধ্যে রামপালের মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বা নুমালিগড়-পার্বতীপুর জ্বালানি পাইপলাইনের মতো বহু প্রকল্পের ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাহলে কি বাংলাদেশের জ্বালানি, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো-সহ বিভিন্ন সেক্টরে ভারতের বিভিন্ন সংস্থার বিপুল বিনিয়োগ এখন ঝুঁকির মুখে?

    দিল্লিতে থিঙ্কট্যাঙ্ক আরএইএস-র অর্থনীতিবিদ প্রবীর দে কিন্তু এ ব্যাপারে এখনই নিরাশ হতে রাজি নন।

    তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বাংলাদেশের নতুন সরকার ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি বা সমঝোতা পুনর্বিবেচনা করার কথা বললেও সে দেশের কোনও ভারতীয় প্রকল্প কিন্তু বাতিল ঘোষণা করেনি।

    ড. দে বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “তাছাড়া এই ধরনের বিনিয়োগে সব সময় একটা ‘সভারেইন গ্যারান্টি’ বা সার্বভৌম নিশ্চয়তার আওতায় থাকে। অর্থাৎ প্রকল্প বাতিল করা হলে রাষ্ট্রের ওপর সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার দায় বর্তায়।” এধরনের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানির ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন কোর্ট বা আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে যাওয়ার রাস্তাও খোলা থাকে।

    বছর কয়েক আগে মালদ্বীপ যখন তাদের দেশের প্রধান বিমানবন্দরটির পরিচালনার ভার একটি ভারতীয় কোম্পানির হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল, সেই সংস্থাটি সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক সালিশিতে গিয়ে বিপুল অঙ্কের ক্ষতিপূরণও আদায় করতে সক্ষম হয়।

    বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এখনই সে রকম কোনও সম্ভাবনা না-দেখলেও সে দেশের অর্থনৈতিক সংকট ও বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মেটাতে যে বেশ কিছুটা সময় লাগবে ও ভারতীয় সংস্থাগুলোকে লগ্নির রিটার্ন পেতে আরও অপেক্ষা করতে হবে – সেই বাস্তবতা অবশ্য দিল্লি এরই মধ্যে অনুধাবন করেছে।

    শেখ হাসিনা এবং অত:পর

    ঢাকা-দিল্লির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতের জন্য বাড়তি অস্বস্তি বয়ে এনেছেন বাংলাদেশের অপসারিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গত এক মাস ধরে ভারতের রাজধানীতেই অবস্থান করছেন।

    তাকে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হলে সেটা যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ও সে দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হতে পারে, ভারত তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছে।

    কিন্তু তা সত্ত্বেও বিগত প্রায় ৫০ বছর ধরে যিনি ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও আস্থাভাজন, সেই শেখ হাসিনার বিপদের মুহুর্তে তার পাশে না দাঁড়ানোটাও ভারতের জন্য কোনও ‘অপশন’ বা বিকল্প নয়!

    ফলে তাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উপযুক্ত সম্মান দিয়ে ভারত প্রথম দিন থেকেই সব ধরনের আতিথেয়তা দিয়ে চলেছে। তবে কতদিন সেটা করে যেতে হবে, এই মুহুর্তে ভারতেরও সে ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই।

    ভারতের সাবেক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিবিদ ড. মোহন কুমার, যিনি দীর্ঘদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি কিন্তু মনে করেন এই ‘সংকট’কেও কাজে লাগানোর উপায় ভারতের হাতে আছে।

    তিনি বলছেন, “আমেরিকার একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছিলেন, কোনও ‘ক্রাইসিস’কেই অপচয় করতে নেই! মানে সব সংকটকেই সুযোগে বদলে ফেলা যায় – আর আমি মনে করি এক্ষেত্রেও সেটা সত্যি।”

    শেখ হাসিনা সংক্রান্ত ‘বিপর্যয়’ থেকেও ভারতের আসলে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস শেখার আছে বলে ড: মোহন কুমার মনে করেন। তিনি বলছেন, “আমাদের নেইবারহুড ফার্স্ট পলিসি-র একটা খুব বড় ত্রুটি হল, অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিবেশী দেশগুলোতে আমরা রাজনৈতিক বিনিয়োগ করেছি কোনও একজন ব্যক্তির ওপর, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে করিনি!”

    বাংলাদেশে শেখ হাসিনা, মালদ্বীপে মোহামেদ নাশিদ, আফগানিস্তানে হামিদ কারজাই, শ্রীলঙ্কায় মৈত্রীপালা সিরিসেনা বা নেপালে বাবুরাম ভট্টরাইকে নিয়ে এই ধরনের ‘ভুল’ ভারত আগেও বারবার করেছে, দিল্লিতে অনেক পর্যবেক্ষকই আসলে সে কথা বিশ্বাস করেন।

    “হাসিনা সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা যদি এখন থেকে বন্ধু দেশগুলোতে কোনও ব্যক্তিবিশেষের বদলে ‘স্ট্রাকচারাল’ বা কাঠামোগত ফ্যাক্টরে লগ্নি করি, সেটা অনেক বেশি ফলপ্রসূ হবে বলে আমার বিশ্বাস। কাজটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়”, বলছেন ড: কুমার।

    আর এভাবেই বাংলাদেশ-জনিত ‘সংকট’কে ভারতে ‘সুযোগে’ বদলে দিতে পারে বলে যুক্তি দিচ্ছেন তিনি।

    ৯৮ কোটি টাকায় দশ হাজার টন ডাল কেনার অনুমোদন

    তবে বাংলাদেশে পালাবদলের পর সে দেশে ‘নতুন বন্ধু’দের খুঁজে বের করা ও তারপর ‘কাঠামোগত’ ফ্যাক্টরে বন্ধুতার বিনিয়োগ – সব মিলিয়ে কাজটা যে আদৌ সহজ হবে না, ভারতের শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা মাত্র এক মাসের মধ্যেই সেটা দিব্বি টের পাচ্ছেন!

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    আন্তর্জাতিক ওপার দৃষ্টিতে দেখছে পরবর্তী বাংলা বাংলাদেশকে ভারত শেখ শেখ হাসিনা - মোদি হাসিনা
    Related Posts
    Bichanai Sukh

    বিছানায় পরিপূর্ণ সুখ পেলেই কেবল বিয়ে হয় এই দেশে

    September 19, 2025
    আইফোন ১৭

    আইফোন ১৭ কেনা নিয়ে দোকানের সামনে ক্রেতাদের তুলকালাম কাণ্ড

    September 19, 2025
    নীতা আম্বানির ব্যাগ

    কুমিরের চামড়া দিয়ে তৈরি নীতা আম্বানির ব্যাগ, দাম জানলে চোখ কপালে উঠবে

    September 19, 2025
    সর্বশেষ খবর
    BCS

    ৪৭তম বিসিএসের প্রিলি অনুষ্ঠিত

    Gen V Dean Cipher powers

    A Theory About Dean Cipher’s Powers in Gen V Season 2

    disney cruise line

    Disney Cruise Line Launches 40% Discount on Fall 2025 Sailings

    Joyroom Mobile Accessories: Leading Global Tech Innovation

    Joyroom Mobile Accessories: Leading Global Tech Innovation

    One Piece Chapter 1161

    One Piece Chapter 1161 Release Delayed for Manga Readers

    হানিয়া

    রাফসানের সঙ্গে ফুসকা উপভোগ করছেন হানিয়া

    Ryder Cup schedule 2025

    Ryder Cup Schedule 2025: Full Tee Times, Dates, Bethpage Black Matches & USA vs Europe Lineup

    Charlie Kirk murder

    Charlie Kirk Suspect Was Fearful of Police Before Surrender

    Mississippi hanging death autopsy

    Autopsy Rules Mississippi Hanging Death a Suicide

    শবনম ফারিয়া

    খেজুর ও বাদাম খাইয়ে মসজিদে ফের বিয়ে করলেন শবনম ফারিয়া

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.