জুমবাংলা ডেস্ক : পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে মো. খোকন (৩৫) নামে এক যুবকের মুখ, চোখ ও হাত-পা বেঁধে খালে ফেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে স্বরূপকাঠির মাহামুদকাঠীতে এ ঘটনা ঘটে। মো. খোকন পেশায় একজন নার্সারি শ্রমিক।
খোকনের বড় ভাই মো. মানিক বলেন, রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হন খোকন। এ সময় ৭-৮ জন তাকে মুখ ও চোখ বেঁধে ওই এলাকার মসজিদের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তার হাত-পাও বাঁধা হয়। পরে পার্শ্ববর্তী মসজিদের পাশে খালে ফেলে দেয় তারা।
অলৌকিকভাবে খোকন ভাসতে ভাসতে মসজিদের সামনে খালের পাড়ে চলে আসেন। রাতভর বাঁধা অবস্থায় সেখানে পড়ে থাকেন। ভোরে স্থানীয় আব্দুল মান্নান খোকনকে দেখতে পান। পরে তিনি লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে খোকনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
শুক্রবার বাড়ি ফিরেন খোকন। শনিবার সকালে প্রতিবেদক তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি কোনো কথা বলতে পারনেনি। হাতের ইশারায় ঘটনার বিবরণ দেন। এ বিষয় স্বরূপকাঠী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জাফর আহম্মেদ বলেন, ঘটনার বিষয় শুনে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।