স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শ্রীলঙ্কা পর্বের ম্যাচগুলোর সবগুলোতেই রয়েছে বৃষ্টির আশঙ্কা। কিন্তু তারপরও ভেন্যু পরিবর্তনের সুযোগ থাকা স্বত্ত্বেও সে পথে হাঁটেনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। উল্টো টুর্নামেন্টের মাঝপথে নতুন করে জন্ম দিয়েছে বিতর্কের।
বৃষ্টির আশঙ্কা ফাইনালসহ ছয় ম্যাচের প্রতিটিতে থাকলেও কেবল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এশিয়ার ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। ফাইনাল বাদে বাকি ম্যাচগুলোর জন্য রাখা হয়নি তেমন ব্যবস্থা।
এসিসির মূল লক্ষ্যই যেন ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ আয়োজন করা। অন্য খেলাগুলোর ভাগ্য কি হয় সেদিকে যেন কোনো নজরই নেই এশিয়ার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির।
এসিসির এমন পক্ষপাতি আচরণ সংস্থাটিকে দাঁড় করিয়েছে সমালোচনার কাঠগড়ায়। আর তাদের এমন সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছেন টাইগার হেড কোচ হাথুরুসিংহে।
হাথুরুর দাবি এসিসি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনাই করেনি। নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটি সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে।
সংবাদসম্মেলনে হাথুরু বলেন, ‘যখন আপনি একবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন, তখন আসলে খুব বেশি কিছু বলার থাকে না। যদি আগে আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করা হতো, তাহলে আমরা কিছু একটা বলাটা পছন্দ করতাম। যেহেতু ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, আমি খুব বেশি চিন্তা করছি না। আমরা শুধু সেটাই করবো, যা করতে বলা হবে। আমি এরকম কিছু অন্য টুর্নামেন্টে দেখিনি। টুর্নামেন্টের মাঝখানে এমন নিয়ম বদলে ফেলা কোথাও হয় না।’
কিন্তু দৃশ্যপট বদলে যায় যখন হাথুরু এই দাবির সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অবস্থানে দাঁড়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বোর্ডের ভাষ্যমতে এসিসি বিসিবি ও বাকি দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে তাদফের সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক টুইটবার্তায় বিসিবি জানায়, এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডে যুক্ত করা হয়েছে। যা এশিয়া কাপের প্লেয়িং কন্ডিশন বিবেচনায় কার্যকর উপায়ে সংশোধিত হয়েছে । অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য জানান হচ্ছে, চারটি অংশগ্রহণকারী দল এবং এসিসির সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দলের হেড কোচ ও বোর্ডের একই ইস্যুতে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী তথ্য প্রদানের বিষয়টি কিসের ইঙ্গিত করে সেই প্রশ্নটা তোলাই রইলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।