জুমবাংলা ডেস্ক : দেশব্যাপী দাবদাহ চলছে। রাতদিন প্রচণ্ড সূর্যের তাপ আর গরমে নাকাল মানুষ। এরমধ্যে শেরপুরের বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যায় হালকা কুয়াশা পড়ছে। গভীর রাতে এই কুয়াশার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোথাও কোথাও ভারি বা হালকা কুয়াশায় রাস্তায় সামান্য যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে কুয়াশার অবস্থান অল্প সময় হয়। কুয়াশার সময় গরম সামান্য কমে। তবে সকালে কুয়াশা ভেঙ্গে সূর্য যত মাথার উপরে উঠে, তাপ ততই বাড়ে। বৈশাখে এমন কুয়াশা পড়াকে প্রকৃতির খেয়াল বলেছেন অনেকেই। মুরুব্বিরা অনেকেই বলেছেন এমন ঘটনা বিরল।
শ্রীবরদীর পৌর কাউন্সিলর রাসেল মিয়া বলেছেন, রাতের বেলা মাঝেমধ্যেই কুয়াশার কারণে সাবধানে গাড়ী চালাতে হচ্ছে। মোটরসাইকেল চালক মুকুল, সাহেব আলী, জোনাব আলী বলেছেন, কুয়াশার জন্য চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। রাতের দূর পাল্লার বাস চালক মুক্তার আলী, হাসেম, ট্রাক চালক মোবারক ও মোরাদ জানিয়েছেন, কদিন ধরেই শেরপুরের বেশ কিছু স্থানে ৩/৪ দিন ধরে রাতে কুয়াশা পড়ছে। গাড়ী থামাতে হচ্ছে না, তবে গতি কমাতে হচ্ছে।
তবে এই অবস্থাকে কুয়াশা বলতে রাজি নন আবহাওয়া বিজ্ঞানী ড: মো: আবুল কালাম মল্লিক। এই অবস্থাকে ধোঁয়াশা দাবি করে এই আবহাওয়াবিদ বলেছেন, আকাশ বেশি মেঘমুক্ত থাকলে রাতে তাপ দ্রুত কমে যায়। মেঘমুক্ত আকাশে রাতে প্রচুর জলীয়বাষ্প ধূলিকণার সাথে মিলে শূন্যে উড়ার সময় কুয়াশার মত দেখা যায়। এটা কুয়াশা নয়, ধোঁয়াশা। আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে এই অঞ্চলে আকাশে মেঘ জমবে এবং বৃষ্টি হবে। তখন কুয়াশার মত দেখতে এই ধোঁয়াশা কেটে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।