বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃদরোগ। অথচ এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো এতটাই সাধারণ যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা আমরা বুঝতেই পারি না। বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্টকেই হৃদরোগের মূল উপসর্গ বলে ধরে নেওয়া হলেও, শরীরে তারও অনেক আগে থেকে ছোট ছোট সংকেত পাঠাতে শুরু করে।
সম্প্রতি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সারমেদ মেজের এক ভিডিওতে এসব বিষয় উঠে এসেছে।
ভিডিওটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সেটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেখানে তিনি মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের একটি সহজ পরীক্ষার কথা বলেছেন, যা হার্ট ফেলিওরের মতো গুরুতর সমস্যার আগাম ইঙ্গিত দিতে পারে এবং কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত, সে বিষয়ে সচেতন করতে পারে।
চিকিৎসক মেজের তার অনুসারীদের ‘পিটিং ইডিমা’ নামক একটি উপসর্গের দিকে নজর রাখতে বলেছেন। যখন পায়ের ফোলা অংশে আঙুল দিয়ে খানিকক্ষণ চাপ দিলে ত্বকের ওপর একটি গর্ত বা টোল তৈরি হয় এবং চট করে তা আগের অবস্থায় ফিরে আসে না, তাকেই পিটিং ইডিমা বলে।
তবে তিনি জানিয়েছেন, এই লক্ষণ দেখা দেওয়া মানেই যে বড় কোনো বিপদ ঘটেছে, তা নয়। তার কথায়, ‘যদিও এটি স্বাভাবিক নয় এবং গুরুতর রোগের সঙ্গে এর যোগসূত্র থাকতে পারে, তবে এর পেছনে অনেক তুচ্ছ কারণও থাকে।’
তার মতে, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা, অতিরিক্ত গরম, গর্ভাবস্থা বা অতিরিক্ত ওজনের মতো সাধারণ কারণেও পায়ে পানি জমে তা ফুলতে পারে। কিন্তু যদি এই ফোলাভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে তা শিরা বা ধমনীর দুর্বলতা অথবা আরো গুরুতর শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
যেমন- হার্ট ফেলিওর, কিডনি বা লিভারের রোগ। যদি একটি মাত্র পায়ে ফোলা ভাব দেখা দেয়, তবে তা রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ারও লক্ষণ হতে পারে।
ডা. মেজের আরো জানান, এই উপসর্গের আসল কারণ নির্ণয়ের জন্য সঠিক ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আমার ক্লিনিকে যখন কোনো রোগী এই সমস্যা নিয়ে আসেন, আমি সঙ্গে সঙ্গে এর কারণ নিশ্চিত করতে পারি না। রক্ত পরীক্ষা, ইকোকার্ডিয়োগ্রাম বা পায়ের আলট্রাসাউন্ডের মতো পরীক্ষার পরেই আসল চিত্রটা স্পষ্ট হয়।
সেই কারণেই বাড়িতে বসে নিজে থেকে এই সমস্যার কারণ খোঁজা একেবারেই উচিত নয়। যদি পায়ে এই ধরনের ফোলা ভাব বা গর্ত হওয়ার মতো লক্ষণ দেখেন, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।’
সূত্র : আজকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।