জুমবাংলা ডেস্ক : সপ্তাহজুড়ে মৌসুমি বায়ু ও নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণের সাগর উত্তাল থাকলেও এখন তা কেটে গেছে। তাই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। আর সরবরাহ বাড়লেও কমছে না ইলিশের দাম। আকারভেদে প্রতিকেজি ইলিশ বেচাকেনা হচ্ছে ৪০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) চাঁদপুরের পাইকারি মাছবাজার বড়স্টেশনে দেখা যায়, ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম চাঁদপুর বড়স্টেশন পাইকারি মাছবাজার।
জেলে ও ব্যাপারীরা জানান, দাম ভালো পাচ্ছেন। তবে সাগর ও নদীর জোয়ার-ভাটার সঙ্গে ইলিশের পরিমাণ কমবেশি হচ্ছে। আর ক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বাড়লেও এর দাম তাদের নাগালের বাইরে।
রুহুল কুদ্দুস নামে এক ব্যাপারী বলেন, কয়েক দিন ধরেই চাঁদপুরের বড়স্টেশন মাছবাজারে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ভোলার উপকূল থেকে আসা ইলিশের চালানই ছিল বেশি। গত কয়েক দিনে উত্তাল থাকা সাগর এখন অনেকটা শান্ত। তাই আবারও ইলিশ শিকারে ব্যস্ততা বাড়ছে। এরই মধ্যে সাগর মোহনায় প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে।
মাছ ব্যবসায়ী মেসবাহউদ্দিন মাল জানান, দূর-দূরান্ত থেকে আসা খুচরা ও পাইকারি ক্রেতা ছাড়াও রাজধানী ঢাকা এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ সরবরাহ করতে পারছেন না। সাগর ও উপকূলে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়ছে না।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বড়স্টেশনে ইলিশ কিনতে আসা পাইকারি ও খুচরা ক্রেতারা জানান, ইলিশের আকারভেদে দরদাম এখনও চড়া। দক্ষিণের সাগরের ইলিশ ১ কেজির ওপরে দাম হাঁকা হচ্ছে ১১০০ টাকা। আর চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা এবং আশপাশের এলাকার একই আকারের ইলিশের তার পড়ছে ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকা। আকারভেদে প্রতিকেজি ইলিশ ৪০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত জানান, জুলাই পর্যন্ত ইলিশের দেখা না মিললেও চলতি মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বাজারে ইলিশ সরবরাহ বেড়েছে। তবে তা কাঙ্ক্ষিত নয়। এভাবে চলতে থাকলে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। তবে সামনের দিনগুলোতে সরবরাহ বাড়লে জেলে ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।
চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদীকেন্দ্রে কর্মরত ইলিশ গবেষক জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ডা. আশরাফুল আলম জানান, দূষণ ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব পড়লেও ভারি বৃষ্টিপাতে ইলিশের প্রাচুর্যতা বাড়তে থাকবে। কারণ, পরিভ্রমণশীল এই মাছ বিচিত্র স্বভাবের। তাই ইলিশের আকাল নিয়ে জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।