লাইফস্টাইল ডেস্ক : গ্রীষ্মের প্রচণ্ড রোদে হাঁসফাঁস অবস্থা। মুখের ভিতরটাও বারবার শুকিয়ে যায়। অফিসে কাজ করতে করতে ক্রমাগত ঝিমুনি আসছে। বাসে বা ট্রেনে যাতায়াতের সময়ে আবার মাথাও ঘুরছে। কাঠফাটা গরমে এই রকম অভিজ্ঞতা কমবেশি সকলেরই হয়। এ সময় শরীরে পানির ঘাটতি হলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব সমস্যার সূত্রপাত হয় শরীরে পানির ঘাটতির কারণে। নিঃশ্বাস, ঘাম, প্রস্রাবের মতো নানা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় প্রতিনিয়ত যে পানি বেরিয়ে যায়, তা পূরণ হয় খাদ্য ও পানীয়ের মাধ্যমে। যখন শরীরে এই পানির জোগান কম পড়ে, তখনই শুরু হয় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা।
তা ছাড়াও গরমে ঘাম হলে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ঘাটতি হয় সেই থেকেও হতে পারে বিপত্তি। এ ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় বেশ কিছু জিনিস রাখতে পারলেই শরীরে পানির ঘাটতি মিটবে, শরীর ঠান্ডা থাকবে আর দেহে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রাও বজায় থাকবে।
গরমে শরীর সুস্থ রাখতে যেসব খাদ্য প্রতিদিনের তালিকায় রাখতে পারেন-
ডাবের পানি
গরম থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হলো ডাবের পানি। এতে পেট ঠান্ডা থাকে, সঙ্গে বেশ কিছু পুষ্টিগুণও থাকে। ডাবের পানি শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। গ্রীষ্মের দিনে ডাবের পানি খেলে শরীর চাঙ্গা থাকে।
কাঁচা আম
এই ফল শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলো বার করে দিতে সাহায্য করে। এটি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে দারুণ উপকারী। গরমের দিনে এই ফল খেলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এই সময়ে লবণ দিয়ে কাঁচা আম খেতে পারেন। তা ছাড়া কাঁচা আমের শরবত কিংবা কাঁচা আমের চাটনিও শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
লাউ
লাউ শরীরকে ঠান্ডা রাখতে বেশ উপকারী। তবে রান্না করা লাউয়ের তুলনায় কাঁচা লাউয়ের রসের উপকারিতা অনেক বেশি। দিনের যেকোনো সময় লাউয়ের রসে সামান্য লবণ আর লেবুর রস দিয়ে খেয়ে ফেলুন। এই পানীয় শরীরকে বেশ ঠান্ডা রাখে, শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে।
অঙ্কুরিত মুগ ডাল
অফিসে কাজের মাঝে খিদে পেলেই আমরা ভারি খাদ্য খেয়ে ফেলি। এর ফলে শরীরে পানির ঘাটতি আরেও বেড়ে যেতে পারে। গরমের দিনে বিকেলে খিদে পেলে অঙ্কুরিত মুগ ডালের স্যালাড বানিয়ে খেতে পারেন। এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। তাই শরীরে তাপমাত্রা বাড়ে না। পেট ঠান্ডা থাকে, শরীরে সোডিয়াম আর পটাশিয়ামের মাত্রাও বজায় থাকে।
টক দই
গরমকালে খাবার তালিকায় টক দই অবশ্যই রাখতে হবে। ভাত দিয়ে হোক বা ফল দিয়ে কিংবা শুধুই টক দই। তবে দইয়ের ঘোল কিংবা লাচ্ছি বানিয়ে খেলে শরীরে পানিও ঢুকবে। ফলে হজমও ভালো হবে, আর শরীরে পানির চাহিদাও মিটবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।