লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রায় প্রতিটি পরিবারেই এক না একজন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। এই রোগের মূল উপসর্গ হল মাথা ব্যথা (Headache)। এক্ষেত্রে মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা হয়। সেই যন্ত্রণা সহ্য করাও হয়ে যায় মুশকিল। এক্ষেত্রে যাঁর এই যন্ত্রণা রয়েছে, তিনিই একমাত্র বোঝেন এই সমস্যার অভিঘাত কতটা! এই ব্যথা হওয়ার সময় কোনও কাজ করা যায় না। তবে ব্যথা ছাড়াও বমি, বমিবমিভাবের মতো সমস্যাও দেখা যায়।
ওষুধেই যে মাইগ্রেন সারবে তা একেবারেই নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজে থেকে ওষুধ কিনে খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ব্যথা শুরু হলেই দোকান থেকে ব্যথানাশক ওষুধ কিনে খেয়ে ফেলেন। ওষুধের ডোজ কী, কখন খেতে হবে তা না জেনেই। ওষুধ না খেয়ে বরং নিয়ম মেনে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।
১.একটি ভিজে তোয়ালে মিনিট পনেরোর জন্য ফ্রিজে রাখুন। ব্যথা শুরু হলেই ওই ঠান্ডা তোয়ালে মাথায় ও চোখের উপর রেখে দিন। ব্যথা অনেক কমে যাবে।
২.রোদ থেকে বাচার জন্য ছাতা এবং সানগ্লাস ব্যবহার করা লাগবে এসবে মাইগ্রেন টিগার করে।
৩.মোবাইল, টিভির পর্দায় চোখ রাখা চলবে না। চোখকে বিশ্রাম দিতে হবে। কম্পিউটারের সামনে বসে দীর্ঘ ক্ষণ কাজ করার অভ্যাস থাকলে মাঝে মাঝেই উঠুন। চোখে পানি দিন।
৪.মাইগ্রেন শুরু হলে বমি বমি ভাব আসে, শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়। এই সমস্যা দূর করতে আদা চায়ে চুমুক দিতে পারেন। আদার অ্যান্টি-ইমফ্ল্যামেটরি গুণ আছে। প্রদাহ কমিয়ে ব্যথা সারাতে পারে।
কেন এই সমস্যা দেখা দেয় তা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা চলছে। তবে এখনও মাইগ্রেনের নেপথ্যে কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং কোনও গন্ধ, কোনও খাবার, আলো, দুশ্চিন্তার মতো জিনিসগুলিতে মাইগ্রেন টিগার করে। শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।