লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের অনেকেরেই খাওয়ার পরপরই বুকে জ্বালাপোড়া দেখা দেয়। সাধারণত সন্ধ্যায় খাওয়ার পরে বা শুয়ে থাকাকালীন এ সমস্যা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ মানুষ তাঁদের জীবনধারা পরিবর্তন করে এই সমস্যা নিরাময় করতে পারেন। তবে, অম্বল যদি ঘন ঘন বা তীব্র হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
বিশেষ করে সন্ধ্যায় অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে যেতে হবে।
অম্বল প্রতিরোধ করতে ধূমপানের অভ্যাস কমিয়ে ফেলতে হবে, স্ট্রেস ও উদ্বেগের কারণেও অনেকসময় অম্বল হয়। এই সমস্যাটিকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে কফি, অ্যালকোহল, মসলাদার খাবার, চকোলেট, টমেটো-ভিত্তিক পণ্য, পেপারমিন্ট ও কার্বনেটেড পানীয়ের অত্যধিক ব্যবহার। তাই তাড়াতাড়ি বুকের জ্বালাপোড়া দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে হবে।
অম্বল বা বুক জ্বালাপোড়ার লক্ষণ
অম্বল প্রচণ্ড অস্বস্তি সৃষ্টি করে। যখন পাকস্থলীর এসিড ছড়িয়ে পড়ে তখন এটি শুরু হয়। বুকে জ্বলন্ত অনুভূতি কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। অম্বল হলে শোয়ার সময় বুকে ব্যথা হতে পারে।
গলা জ্বালাপোড়া করে। গিলতে অসুবিধা হয়। গলার পিছনে অম্লীয়, টক বা নোনতা স্বাদ পাওয়া যায়।
অম্বলের জন্য কার্যকর ঘরোয়া উপায়
পাকা কলা : অম্বল হলে একটি পাকা কলা খান। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে, যা পাকস্থলীর এসিডকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। তাই খাদ্যতালিকায় পাকা কলা বেছে নিতে ভুলবেন না।
ডায়েট চুইংগাম : চিনি-মুক্ত গাম চিবিয়ে নিন। কারণ এটি লালা উৎপাদন বাড়ায়। লালা গিলতে সাহায্য করে এইভাবে এসিডের মাত্রা কম রাখে এবং বুকজ্বালার সমস্যা সমাধান করে।
খাবার তালিকা তৈরি : ট্রিগার খাবার এড়ানোর জন্য একটি খাদ্য তালিকা বজায় রাখুন। ওপরে উল্লিখিত খাবারগুলোকে চিহ্নিত করুন, যা বুকজ্বালার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
অল্প ও ধীরে ধীরে খান : বেশি পরিমাণে খেলে তা অস্বাভাবিকভাবে ভালভের ওপর চাপ দেয়, যা এসিডিটির দিকে পরিচালিত করে। তাই অল্প পরিমাণে খান এবং খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান।
টাইট-ফিটিং জামাকাপড় এড়িয়ে চলুন : টাইট বেল্ট, জামাকাপড় ও আন্ডারগার্মেন্ট পেটের ওপর চাপ দেয়। এইভাবে বুকজ্বালার লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে তোলে।
তাড়াতাড়ি খেতে হবে : ঘুমাতে যাওয়ার ৩ ঘণ্টা আগে খান, কারণ পেট ভরে খেয়ে শুয়ে থাকলে অম্বল হতে পারে।
উপযুক্ত ঘুমের অবস্থান : বাম দিকে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। কারণ এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেটে এসিড রিফ্লাক্স প্রতিরোধ করে। ঘুমানোর সময় আপনার মাথা ও বুক আপনার পায়ের চেয়ে উঁচু হতে হবে।
ওজন কমাতে হবে : আপনার ওজন বেশি হলে ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ওজন পেটে অতিরিক্ত চাপ দেয় ফলে বুকজ্বালার ঝুঁকি থাকে।
ধূমপান ছাড়তে হবে : ধূমপান বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ ধূমপান লালা উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে পেটে এসিড তৈরি হয়।
চাপমুক্ত থাকতে হবে : এই পুরো প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য চাপ কমিয়ে দিন। গুরুতর বুকজ্বালার ক্ষেত্রে সতর্কতা হালকা অম্বলের জন্য অ্যান্টাসিড এবং স্ব-সহায়তা কাজ করতে পারে। তবে ঘন ঘন অস্বস্তির ক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বুকজ্বালা কমানোর জন্য চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। কারণ এই ওষুধগুলো অন্যান্য ওষুধের কার্যকারিতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে।
সূত্র : ওয়ানইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।