আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জার্মানির একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিয়েল ইন্সটিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জো বাইডেনের প্রশাসন এবং মার্কিন কংগ্রেস ইউক্রেনকে মানবিক, আর্থিক এবং সামরিক সহায়তা হিসেবে ৭৫ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এই অর্থের অন্তত ৬০ শতাংশই অস্ত্র এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার মতো সামরিক কার্য সম্পাদনের জন্য।
বিবিসির উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সম্পাদক সারাহ স্মিথ বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন দৃঢ়ভাবেই বিশ্বাস করেন যে, বিশ্বে গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোটা আমেরিকার দায়িত্ব- তার নিজের দায়িত্ব। বাইডেনের ভাষণ নিঃসন্দেহে আন্তরিক, হৃদয়গ্রাহী এবং আবেগপ্রবণ ছিল। তার কথাগুলো সব সময় আমেরিকান ভোটারদের সম্পৃক্ত না করলেও তিনি বিশ্ব জুড়ে যারা সংঘাতের শিকার তাদের প্রতি সহানুভূতি জাগাতে বেশ কার্যকর।
তিনি তার ভাষণে আমেরিকার নাগরিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, এটা কেন তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য ভাল। কেন হাজার হাজার মাইল দূরে বিদেশি কোন সংঘাতের বিষয়ে তাদের মাথা ঘামানো উচিত। এবং তার বিদেশি নীতি এগিয়ে নিতে কেন আমেরিকান করদাতাদের অর্থ বিদেশি পাঠানো উচিত। তার ভাষণের মূল উদ্দেশ্যই ছিল, ইসরাইল ও ইউক্রেনের সহায়তায় তার অনুরোধকৃত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল পাস করতে কংগ্রেসের উপর চাপ সৃষ্টি করা।
তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, ভ্লাদিমির পুতিন এবং হামাসকে প্রতিরোধ করতে এখন যে অর্থ ব্যয় করা হবে তা হবে স্মার্ট বিনিয়োগ যা আমেরিকার নিরাপত্তার জন্য আসছে বছরগুলোতে লাভজনক হবে। ইসরাইল তার সফরের বিষয়ে বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি সতর্কতার সাথে গাজায় থাকা ফিলিস্তিনি মানুষের দুর্দশার কথা যেমন বলেছেন, তেমনি হামাসের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইসরাইলি ও আমেরিকানদের পরিবারের সাথে দেখা করার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। সূত্র: বিবিসি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।