মুফতি আবদুল্লাহ তামিম : বছরের সেরা মাস রমজানে আল্লাহ তাআলা এমন এক রাত দিয়েছেন, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এই মহিমান্বিত রাতের নাম লাইলাতুল কদর, শবে কদর বা ভাগ্যরজনী। তবে এই রাত রমজানের কত তারিখে হবে, তা কোরআন-হাদিসে সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। যাতে মুমিন বান্দা এই রাতের খোঁজে বেশি বেশি ইবাদতে মগ্ন হয়।
এই রাতের নামে পবিত্র কোরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরাও নাজিল করেছেন আল্লাহ তাআলা। সুরাতুল কদর নামের এই সুরায় তিনি এই রাতের পরিচয়, তাৎপর্য ও মহিমা সংক্ষেপে তুলে ধরেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে। তুমি কি জান, লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এতে প্রতিটি কাজের জন্য ফেরেশতারা ও জিবরাইল তাদের পালনকর্তার নির্দেশে নেমে আসে। ফজর হওয়া পর্যন্ত (এই রাতে বিরাজ করে) শান্তি আর শান্তি।’ (সুরা কদর: ১-৫)।
শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় শবে কদরে ইবাদত করবে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (মুসলিম: ৭৬০; বুখারি: ২০১৪)
রমজানের শেষ দশকের যেকোনো রাতই শবে কদর হতে পারে। তবে বেজোড় রাতগুলো শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে শবে কদর খোঁজো। (বুখারি: ২০১৭)
রমজান মাস ২৯ দিনের হোক কিংবা ৩০ দিনের, শেষ দশক শুরু হবে একুশতম রাত থেকে। এই হিসাবে উল্লিখিত হাদিস অনুযায়ী শবে কদর ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখের রাতগুলোর একটি হতে পারে। মহানবী সা. শবে কদরের খোঁজে ইতিকাফ করতেন।
অধিকাংশ আলেমের মতে, একুশতম রাত থেকে শুরু করে বেজোড় রাতগুলোতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি এবং অধিক অগ্রাধিকারযোগ্য কথা। অবশ্য অন্যান্য রাতেও শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে মহিমান্বিত এ রাত পাওয়ার ও এ রাতে আমল করে আল্লাহকে খুশি করার তাওফিক দান করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।