জুমবাংলা ডেস্ক : সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সেপ্টেম্বরের শুরুতে বৃষ্টির প্রবণতা বেড়ে যাবে। তবে এর আগেও প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার বিকালে আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, গতকাল বিকাল ৪টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। সেটি শিথিল হয়েছে। নতুন করে আর কোনো সতর্কবাণী দেওয়া হচ্ছে না।
এদিন সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে সর্বোচ্চ ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময়ে চট্টগ্রামে ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, আগামী ৫ দিন কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। আজও চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তরিফুল বলেন, এসব এলাকায় দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আজও সিলেট-চট্টগ্রামে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে কাল থেকে এই ২ বিভাগেও বৃষ্টি কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী মাসের ২ অথবা ৩ তারিখের পরে গিয়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। এর আগপর্যন্ত বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কমই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাস অনুসারে, সোমবার ঢাকা, মাদারীপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা হওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, বর্তমানে ৪টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার সকালে রংপুরের কাউনিয়া স্টেশনে তিস্তার পানি ৯ সেন্টিমিটার, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ী স্টেশনে যমুনার পানি ৪ সেন্টিমিটার, সিলেটের কানাইঘাটে সুরমা ৩৫ সেন্টিমিটার ও নেত্রকোনার কলমাকান্দা স্টেশনে সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পূর্বাভাস বলছে, দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের কিছু নদ-নদীর পানির সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বাড়তে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।