আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হাওড়ার সাঁকরাইলের এক যুবকের জীবনযুদ্ধ আরও কঠিন হয়ে গেল! স্ত্রীর চাপে কিডনি বিক্রি করে জমানো টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন তাঁর স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৯ বছর বয়সী পিন্টু বেজের সঙ্গে ১৬ বছর আগে প্রেমের পর বিয়ে হয় সুপর্ণা বেজের। তাঁদের ১২ বছরের এক কন্যা রয়েছে। ভবিষ্যতে মেয়ের বিয়ের জন্য সোনার গয়না গড়ানোর অজুহাতে সুপর্ণা স্বামীকে কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেন। চরম দারিদ্র্যের মুখে পড়ে পিন্টু শেষ পর্যন্ত এক কিডনি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। কিন্তু কিছুদিন পরই সুপর্ণা সেই টাকা ও গয়না নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান।
এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন পিন্টু বেজ। প্রথমে থানায় স্ত্রীর নিখোঁজ ডায়েরি করার পর তিনি হেবিয়াস কর্পাস মামলা দায়ের করেন। তবে তদন্তে উঠে আসে, সুপর্ণা স্বেচ্ছায় স্বামীকে ছেড়ে গেছেন এবং বর্তমানে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করছেন। পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ গত ২৭ জানুয়ারি মামলাটি খারিজ করে দেয়।
এদিকে, সর্বস্ব খুইয়ে নিঃস্ব পিন্টু বলেন, “স্ত্রী আমাকে বারবার কিডনি বিক্রি করতে বলত। আমি ১০ লাখ টাকায় কিডনি বিক্রি করি, কিন্তু অসুস্থ থাকার সময়ই সে সব টাকা ও গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।