জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর খিলক্ষেতে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে এসে এক নববধূ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পূর্বপরিচিত সুমনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে খিলক্ষেত থানাধীন বনরূপা এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে শনিবার (২৯ জুন) দুপুর পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে খিলক্ষেত থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মূল হোতা সুমন, তার সহযোগী পার্থ, হিমেল, রবিন, টুটুল, হৃদয় এবং নুরু। ভুক্তভোগী সাবেক অঙ্গীভূত আনসার সদস্য। বর্তমানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।
খিলক্ষেত থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে এয়ারপোর্ট এলাকায় ভুক্তভোগী ও তার স্বামী ঘুরতে আসেন। আনুমানিক রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে রোডের কাছে বনরূপা এলাকার কাছাকাছি গেলে সুমন ও অজ্ঞাতনামা ৬ জন তাদের জোরপূর্বক ধরে নিয়ে বনরূপা এলাকার ঝোপঝাড়ের মধ্যে নিয়ে মারধর করে এবং ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এক পর্যায়ে তারা ভুক্তভোগীর স্বামীকে ছেড়ে দেয় মুক্তিপণের আনার জন্য। তিনি ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চান। খিলখেত থানা টহলরত পার্টি তৎক্ষণাৎ ভুক্তভোগীর স্বামীকে নিয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য রওনা দেয়। ইতোমধ্যে আসামিরা ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে মারধর করেও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে।
এক পর্যায়ে আসামিরা নববধূকে ধর্ষণ করতে থাকে। অন্যদিকে ভুক্তভোগীর স্বামীকে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে খোঁজাখুঁজি করতে করতে কাছাকাছি পৌঁছে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়।
পরে ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শেখ মুত্তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে খিলক্ষেত থানার কয়েকটি টিম অভিযান চালিয়ে শনিবার (২৯ জুন) দুপুর নাগাদ সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
এসি শেখ মুত্তাজুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে ঘটনাটি জানানোর পরপরই অভিযান শুরু হয়। গ্রেপ্তাররা দলবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জড়িত একজন ওই নববধূর পূর্ব পরিচিত। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় অপহরণ এবং গণধর্ষণ সংক্রান্তে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।