৮৯ বছরের স্বামীর বিছানার আবদার মেটাতে নাজেহাল স্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্বামীর বয়স ৮৯ এবং ৮৭ বছরের স্ত্রী। কিন্তু যৌ”ন সমস্যায় বিপদে দুজনের দাম্পত্য সম্পর্ক। এত বছরের বিবাহিত সম্পর্ক প্রায় ভাঙার উপক্রম। বার বার ৮৯ বছরের স্বামীর যৌ”ন”তার আবদার মেটাতে নাজেহাল স্ত্রী। অবস্থা এতটাই চরমে পৌঁছায় যে স্বামীর হাত থেকে রক্ষা পেতে গুজরাট পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করে সাহায্য চান স্ত্রী।

‘আভি তো ম্যায় জওয়ান হুঁ’– বৃদ্ধ স্বামীর যৌ”ন”তা”র আবদার মেটাতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা বৃদ্ধা স্ত্রীর। দিনের পর দিন এমন যৌ”না”চা”রে তিতিবিরক্ত হয়ে পড়েন স্ত্রী। এমনকী বৃদ্ধ বয়সে এমন শারীরিক অত্যাচারে মারাত্মক অসুস্থও হয়ে পড়েছেন তিনি। এই অসহায় অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে শেষ পর্যন্ত পুলিশের অভয়ম হেল্পলাইনে ফোন করে সাহায্য চাইলেন বৃদ্ধা।

সম্প্রতি গুজরাটে সামনে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অভয়ম হেল্পলাইনের আধিকারিকরাও এমন অভিযোগ পেয়ে হতভম্ব। জানা গিয়েছে, ৮৭ বছরের এক বৃদ্ধা তাঁর স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য চান। তাঁর অভিযোগ, বৃদ্ধের যখন তখন সঙ্গমের ইচ্ছা ও চাহিদা মেটাতে মেটাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বৃদ্ধ স্বামীর ইচ্ছেপূরণে রাজি হতে হয় তাঁকে। রাজি না হলেই চলে মানসিক অত্যাচার।

অভয়ম হেল্পলাইনের আধিকারিক সূত্রে খবর, বহুদিনের বিবাহিত সম্পর্ক ওই বৃদ্ধ দম্পতির। বার্ধক্যেও যৌ”ন চাহিদা বা যৌ”ন উত্তেজনা কমেনি সম্পর্কে। দীর্ঘদিন তাদের মধ্যে সুস্থ সম্পর্ক থাকলেও শা”রীরিক সম্প”র্কে দুজনের ইদানীংকালে সম্মতির অভাব প্রভাব ফেলছে সম্পর্কে। এক বছর আগে হঠাৎই সাংঘাতিক অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধা। শা”রীরিকভাবে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েন যে বিছানা থেকে নিজে ওঠার ক্ষমতাও হারিয়েছেন। দৈনন্দিন কাজও করতে তাঁকে এখন ছেলের বউয়ের সাহায্য নিতে হয়। এমন অবস্থায় স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের মতো জোরও তাঁর অবশিষ্ট নেই। অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন স্ত্রী।

বৃদ্ধার অভিযোগ, ৮৯-এর স্বামী রোজই শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হতে চান। বাধা দিলে বা রাজি না হলে সাংঘাতিক চেঁচামেচি শুরু করেন। এমন চিৎকার করেন যে পড়শিরাও রাগের কারণ জেনে যান। যাতে লোকলজ্জার শেষ নেই। বাধ্য হয়ে অভয়ম-এর দ্বারস্থ হন স্ত্রী।

এই গ্রামের প্রধান পেশা সাপ চাষ

ফোন পেয়ে আধিকারিকরা সঙ্গে সঙ্গে ওই দম্পতির বাড়ি যান। অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধের সঙ্গে কথা বলেন এবং কাউন্সেলিং করেন। তাঁকে বোঝান এমন আচরণে তাঁর ইমেজ কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। একইসঙ্গে শরীর শান্ত করতে যোগা করার পরামর্শও দেন হেল্পলাইনের আধিকারিক এবং সেক্সোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করারও কথা বলেন।