জুমবাংলা ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা উন্নয়ন চায়, নাকি ধ্বংস চায়। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে হলে জনগণকে নৌকার পক্ষেই রায় দিতে হবে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের নামে তারাই মায়া কান্না করছে যারা যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় এনেছিল, কার্ফু দিয়ে সরকার চালিয়েছিল। যারা বিচার হতে দেয়নি, যারা হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দেয়। আর মানবাধিকারের নামে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী সেই পরাশক্তি।
বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, উনারা রাতের অন্ধকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুসারীদের দিয়ে উপাচার্যের কক্ষ দখল করেছিল। তারা সবকিছু তাদের হিসাব দিয়ে বিবেচনা করে। যারা নর্দমার কিট তাদের নজরটাও নর্দমায় থাকে। যারা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, যারা শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্র নিয়ে এসেছিল তারাই সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে অমর্যাদাকর বক্তব্য দিতে পারে।
ডা. দীপু মনি এমপি বলেন, যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, কারফিউ দিয়ে দেশ চালিয়েছে, যারা রাজনীতি বলতে ষড়যন্ত্রই বোঝে, সেই গণতন্ত্র হত্যাকারী মানুষ হত্যাকারীরা এখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলছে। কিন্তু জনগণের কাছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা কী, তা সহজেই অনুমেয়। আজ তারা আবারও ষড়যন্ত্রে নেমেছে। কিন্তু জনগণ সত্যিকারের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, তারা উন্নয়ন চায়, জনগণ সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছে। তাই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের হোতা, আশ্রয় প্রশ্রয়দাতাদের সঙ্গে জনগণ নেই। জনবিচ্ছিন্ন হওয়ায় তাদের আন্দোলনের কোনো ইতিবাচক ফলাফল নেই।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি, যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে, পাকিস্তানি অপশাসন টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করেছে, দেশের স্বাধীনতা চায়নি, স্বাধীনতা রুখতে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করছে, লাখ লাখ নারীকে ধ’র্ষ’ণ করেছে, লুটতরাজ করেছে; তারাই একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পঁচাত্তরের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর বিচার চাওয়ার পথও রুদ্ধ করে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। ওই খুনিচক্র ২১ বার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এই চক্র ও তাদের দোসরা একাত্তরে পাকিস্তানের পক্ষে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছে, ৭৫এ নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে।
শাহজালালে ভিভিআইপি চলাচলে আলাদা টার্মিনালের পরিকল্পনা, যেসব সুবিধা থাকবে
যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ এইচ এমন আহসান হাবীব। এছাড়াও বক্তব্য দেন, যবিপ্রবি ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আহসান হাবিব প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।