লাইফস্টাইল ডেস্ক : ব্যস্ততা ও কাজের চাপে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে খাওয়াদাওয়ায়। অনেকেই নিয়ম মেনে সময় নিয়ে খাবার খান না। কোনও মতে নাকেমুখে গুজে নেন। তাঁদের দেখে মনে হতেই পারে, জীবনে খাওয়ার গুরুত্ব বোধহয় সবথেকে কম। সময় না দিয়ে গোগ্রাসে খাবার খেলে কিন্তু নিজেকে ক্রমশ ক্ষতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
আজকালকার জীবনযাপনে ব্যস্ততা হল নিত্যসঙ্গী। ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু হয়ে যায় ব্যস্ততা। ব্যস্ততা ও কাজের চাপে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে খাওয়াদাওয়ায়। অনেকেই নিয়ম মেনে সময় নিয়ে খাবার খান না। কোনও মতে নাকেমুখে গুজে নেন। তাঁদের দেখে মনে হতেই পারে, জীবনে খাওয়ার গুরুত্ব বোধহয় সবথেকে কম। সময় না দিয়ে গোগ্রাসে খাবার খেলে কিন্তু নিজেকে ক্রমশ ক্ষতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
বাড়ে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা: সময় নিয়ে খাচ্ছেন না মানে ঠিক করে চিবোচ্ছেন না। হজম প্রক্রিয়ার সঙ্গে চিবনোর সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গী। যত বেশিক্ষণ ধরে চিবোবেন তত বেশি লালারস খাবারে মিশ্রিত হবে। তাই হুড়মুড়িয়ে খেলে খাবার হজম হতে দেরি হয়। ফলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চওড়া হবে ভুঁড়ি: ওজন কমানোর অন্যতম শর্ত হল ধীরে ধীরে খাবার খাওয়া। খাবারের পরিমাণ যেমনই হোক, হজম ঠিকঠাক হলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও ঝুঁকি থাকে না। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে খাবার খাওয়ার ফলে স্থূলতার ঝুঁকি থেকেই যায়।
বঞ্চিত হবেন পুষ্টি থেকে: খাবারকে পুষ্টির অন্যতম উৎস বলে মনে করা হয়। নাকেমুখে গুঁজে খাবার খেলে শরীর সঠিক পুষ্টি পাবে না। তাই খাবার খাওয়ার সময় পুরো মনোযোগ খাবারের উপরেই দিতে হবে।
ঝুঁকি বাড়বে সুগারের: দ্রুত খাবার খেলে আপনার শরীরে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ এই অভ্যাসটি ইনসুলিনের প্রভাব কমায় এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
মেজাজ খিটখিটে হয়: শুনে অবাক লাগলেও কথাটা সত্যি। তাড়াহুড়ো করে খেলে মন-মেজাজ খারাপ হয়, বাড়ে উদ্বেগ। অন্যদিকে আস্তে আস্তে খেলে মন ভালো থাকে। সেই সঙ্গে মুখের ব্যায়াম হয় ভালো করে চিবিয়ে খাবার খেলে।
স্বাদ থেকে বঞ্চিত হওয়া: খাবার খাওয়া তো শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়। খাবার যদি রসনা তৃপ্তিই না দিল, তাহলে হরেক রকম রান্নার কী প্রয়োজন। কিন্তু তাড়াহুড়োয় খেলে খাবারের স্বাদ আস্বাদন করা সম্ভব নয়। তাই রসনাতৃপ্তি থেকে বঞ্চিত করবে এ ভাবে খাওয়ার অভ্যাস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।