লাইফস্টাইল ডেস্ক : হাঁটা অন্যতম সেরা একটি শারীরিক কসরত। নিয়মিত হাঁটলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে অনায়াসে পরিত্রাণ পাওয়া যায় বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। এমনকি গবেষণায় এর সত্যতা মিলেছে।
একটু বিরতি দিয়ে গতি কমিয়ে-বাড়িয়ে, আপ হিল-ডাউন হিলে হাঁটা, সঠিক নিয়মে সোজা হয়ে হাঁটা, খানিকটা ওজন নিয়ে হাঁটা ইত্যাদি সাহায্য করবে বেশি ক্যালরি ঝরাতে।
নির্দিষ্ট ছন্দ থেকে বের হয়ে হাঁটা
আপনি কোন গতিতে হাঁটছেন, তার ওপর নির্ভর করে আপনার ক্যালরি বার্ন হওয়ার পরিমাণ। প্রতি ঘণ্টায় পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম, আদর্শ গতি হতে পারে আপনার হাঁটার। এই গতিতে হাঁটলে হৃৎস্পন্দন বাড়ে ও পেশির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়, যা ধীরে হাঁটলে পাওয়া যাবে না। এটা কেবল ক্যালরি পোড়ায় না, মেটাবলিজম বা হজমের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, যা সারা দিন ধীরে ধীরে ক্যালরি পোড়াতে সহায়তা করে। হাঁটার সময় হাতের ছন্দ, লম্বা কদম ফেলা ও মূল পেশিকে অন্তর্ভুক্ত করা খুবই কার্যকর।
একই ছন্দে হাঁটবেন না
ইন্টারভ্যাল ওয়াক এ ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। একই গতিতে হাঁটবেন না, যেমন উঁচু জায়গা বা সিঁড়িতে ওঠার ধাপ থাকলে দ্রুত উঠুন। এতে করে হৃৎস্পন্দন বাড়বে। আবার নামার সময় ধীরে নামুন, এতে করে বেড়ে যাওয়া হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এটি কেবল আপনার শরীরচর্চায় ভিন্নতা আনে না, এ কারণে আপনার ক্যালরি বার্নের পরিমাণ অনেক বেশি হয়। যেমন প্রথম পাঁচ মিনিট সহনীয় গতিতে হাঁটুন, এরপর দুই থেকে তিন মিনিট জোরে বা সিঁড়ির ধাপ বেয়ে ওপরে উঠুন। এরপর আবার সহনীয় গতিতে ফিরে আসুন। এই প্রক্রিয়ার কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করুন। ফলে হৃদ্যন্ত্রের সক্ষমতা বাড়ে ও সামগ্রিক ক্যালরি বার্নের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
সঠিক ভঙ্গিতে হাঁটুন
কীভাবে হাঁটছেন ও সঠিক নিয়মে মেরুদণ্ড সোজা করে হাঁটছেন কি না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে হাঁটলে পায়ের ও দেহের সামগ্রিক পেশিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে, যা আপনাকে ফিট রাখে। হাঁটার সময় খেয়াল রাখবেন, অবশ্যই যেন কাঁধ স্বস্তিতে থাকে। হাঁটার সময় মূল পেশিকে সংযুক্ত করতে হবে, যাতে করে আপনার টরসো, পিঠের পেছনের অংশ এবং পায়ের পাতা দৃঢ় থাকে, পায়ের আঙুল যেন সঠিকভাবে পড়ে। আবার বেশি ঝুঁকে হাঁটা যাবে না, এ কারণে হাঁটার কার্যকারিতা হ্রাস পাবে।
উঁচু-নিচু জায়গা দেখে হাঁটুন
একটু উঁচু জায়গায় হাঁটার সময় পায়ের কাফ, হ্যামস্ট্রিং ও নিতম্বের গাঁট মাসেলে ইতিবাচক চাপ পড়ে। এ কারণে বেশি ক্যালরি বার্ন হয়। এ সময় ছোট ছোট পদক্ষেপে হাঁটুন। ফলে হাঁটার ছন্দ ঠিক থাকবে।
হাঁটার সময় কিছুটা অতিরিক্ত ওজন বহন করুন
হাঁটার সময় আধুনিক রেসিস্ট্যান্ট ওয়েট ব্যবহার করুন, যা বিভিন্ন স্পোর্টস সামগ্রীর দোকানে পাওয়া যায়। অ্যাঙ্কেল ওয়েট বা গোড়ালিতে নির্দিষ্ট ওজনের বেল্ট বহন করে খানিকটা প্রতিবন্ধকতা নিয়ে হাঁটা, যাতে করে পেশিতে বেশি চাপ পড়ে। পিঠে ওজনসহ ভেস্ট পড়ে হাঁটা, যাতে বেশি ক্যালরি পোড়ে, যা সামগ্রিক সুস্থতায় প্রভাব রাখে। চেষ্টা করুন রোজ অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটার এবং ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে এক ঘণ্টায় নিয়ে যান। এর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা যুক্ত করুন। মনে রাখবেন, ধারাবাহিকতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, নিয়মিত চর্চা নিয়ে আসে ভালো ফল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।