লাইফস্টাইল ডেস্ক : শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য হাঁটার উপকারিতা সবার জানা। তবে কবে, কখন ও কীভাবে হাঁটলে বেশি উপকার পাওয়া যায়, তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে একটি সহজ ও কার্যকর সমাধান হতে পারে ‘৬-৬-৬ হাঁটার রুটিন’। এটি এমন একটি রুটিন, যা মেনে চললে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক চাপ কমানো, ঘুমের মান ঠিক রাখাসহ ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়ে যায়। ভারী ব্যায়াম কিংবা কড়া ডায়েটের ঝামেলায় না গিয়েও এই নিয়ম অনুসরণ করে দৈনন্দিন জীবনে আনতে পারেন স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে ৬-৬-৬ রুটিন আপনার সুস্থ থাকার যাত্রাকে সহজ করে তুলতে পারে।
১. সকাল ৬টায় হাঁটা দিয়ে দিন শুরু করুন
সকালের সময়টা হাঁটার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী। এই রুটিন অনুযায়ী আপনাকে সকাল ছয়টায় হাঁটতে বেরিয়ে যেতে হবে। এ সময় ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটলে আপনার মেটাবলিজম বাড়বে, যা সারা দিন ক্যালরি বার্ন করতে বেশ কার্যকর। এ ছাড়া সকালে হাঁটতে বের হলে সতেজ বাতাস পাওয়া যায়, যা ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতে কাজ করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে হাঁটলে মানসিক চাপ কমে আসে, যা সারা দিন আপনার মেজাজ ভালো রাখতেও সাহায্য করে। তাই দিন শুরু করুন সকালে কিছুক্ষণ হাঁটার মাধ্যমে।
২. সন্ধ্যা ৬টায় আবার হাঁটতে বেরিয়ে পড়ুন
দিনের শেষে শরীর ও মনকে স্বস্তি দিতে সন্ধ্যায় হাঁটা বেশ উপকারী। এটি রক্তচাপ কমায়, হজম শক্তি বাড়ায় ও মানসিক চাপ দূর করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ সময় ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া সন্ধ্যার হাঁটা রাতের ঘুমের মান উন্নত করতেও সাহায্য করে।
৩. প্রতিদিন ৬০ মিনিট হাঁটতে হবে
একটানা এক ঘণ্টা হাঁটতে না পারলেও প্রতিদিন মোট ৬০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন। এটি আপনি সকাল ও সন্ধ্যায় ভাগ করে নিতে পারেন। প্রতিদিন ৬০ মিনিট হাঁটলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে ও ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এ ছাড়া নিয়মিত হাঁটা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে এবং মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
৪. হাঁটার আগে ৬ মিনিট ওয়ার্ম-আপ করুন
হাঁটার আগে শরীরকে প্রস্তুত করা অত্যন্ত জরুরি। ওয়ার্ম-আপ করলে পেশি নমনীয় হয়, রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং আঘাতের ঝুঁকি হ্রাস পায়। ওয়ার্ম-আপ হিসেবে হালকা স্ট্রেচিং বা ধীরগতিতে হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন।
৫. হাঁটার পর ৬ মিনিট কুল-ডাউন করুন
হাঁটা শেষে কুল-ডাউন শরীরকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরায়। এটি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে, পেশির জড়তা দূর করে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কুল-ডাউন হিসেবে ধীরগতিতে হাঁটতে পারেন বা হালকা স্ট্রেচিং করতে পারেন।
৬-৬-৬ রুটিনের সুবিধা
এই রুটিন সহজ, সময় উপযোগী এবং প্রতিদিন মেনে চলা সম্ভব। বিশেষ করে কর্মব্যস্ত মানুষের জন্য এটি একটি আদর্শ রুটিন হতে পারে। এতে কোনো অতিরিক্ত ঝামেলা নেই, নেই জটিল প্রস্তুতির প্রয়োজন।
শুধু নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেই নিজেকে শরীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখা সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।