ধর্ম ডেস্ক : নামাজ হওয়ার জন্য পুরুষের ক্ষেত্রে নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা যথেষ্ট। এভাবে যদি কেউ বাধ্য হয়ে নামাজ পড়েন যে, তার একটি লুঙ্গি বা একটি গামছা আছে বড়, তাহলে এভাবেই তার নামাজ পরিপূর্ণ সহীহ হবে।
আর যার নামাজ পড়ার সময় অন্য পোষাক পড়ার সুযোগ রয়েছে তার জন্য হুকুম হলো, আল্লাহ তায়ালা সূরা আ’রাফের ৩১ নং আয়াতে বলেন, তোমরা প্রত্যেকে সিজদার স্থলে বা মসজিদে (নামাজের সময়) সৌন্দর্য গ্রহণ কর (পোষাক ও সাজসজ্জা পরিধান করে নাও)।
এখানে নামাজের সময় উত্তম পোষাক পরার কথা বলা হয়েছে। সে জন্য একটা মানুষ যখন টি শার্ট বা শার্ট পরিধান করা থাকে এটা ভিজ্যুয়াল পোষাক। উনি যখন নামাজের ইচ্ছা করে নামাজ পড়বেন তখন যেন হাতাওয়ালা একটা জামা গায়ে দেন বা বড় চাদর উপরে দেন, যেন তাকে শোভনীয় মনে হয়। যেমন কেউ যদি বিশিষ্ট কারও সামনে যায় তখন সে তার স্বাভাবিক পোষাকে যায় না, গামছা গায়ে দিয়ে বা ঘরের ভেতরের গেঞ্জি পরেই চলে যায় না।
মোবাইল ধরা দেখেই বোঝা যায় ব্যক্তিত্ব কেমন
সুতরাং আল্লাহর সান্নিধ্যে আমরা যখন যাবো, মনের হালতটা এমন হওয়া উচিত যে, আমি একটু শোভনীয় ও সৌন্দর্যমন্ডিত এবং আমার ভালো পোষাকটি পরে জায়নামাজে দাঁড়াই, মসজিদে যাই। এটা হলো আদব। নামাজ জায়েজ হওয়ার জন্য ফরজ সতরটুকু (পুরুষের ক্ষেত্রে নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত) ঢাকা থাকলেই হবে। আর নামাজ সুন্দর হওয়ার জন্য কনুই পর্যন্ত ঢেকে রাখা, শরীরটাকে ভালোভাবে ঢেকে রাখা, অন্যথায় সুযোগ থাকাবস্থায় শরীর ভালোভাবে ঢেকে নামাজ পড়লে নামাজ মাকরুহ হবে। তবে কেউ যদি অপারগতায় গেঞ্জি বা হাফ হাতা শার্ট পরে নামাজ পড়ে সেটা ভিন্ন বিষয়, তার নামাজ হয়ে যাবে। এ বিষয়টা আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।