লাইফস্টাইল ডেস্ক : ক্রিয়েটিনিনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। নইলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না। এবার প্রশ্ন হল, কী ভাবে আপনি ক্রিয়েটিননকে বাগে আনতে পারবেন? সেই প্রশ্নের যদি উত্তর জানতে চান, তাহলে ঝটপট এই প্রতিবেদনটি পড়ে ফেলুন। আশা করছি, এই নিবন্ধ পড়ার মাধ্যমেই আপনি অনায়াসে এই সমস্যার সমাধন করতে পারবেন। এমনকী এড়িয়ে যেতে কিডনির সমস্যা।
ক্রিয়েটিনিন আমাদের সবার শরীরেই তৈরি হয়। তবে সুস্থ মানুষের শরীর কিডনির মাধ্যমে এই উপাদানকে দেহের বাইরে বের করে দেয়। তাই এই নিয়ে তেমন সমস্যায় পড়তে হয় না।
কিন্তু মুশকিল হল, অনেকের শরীরেই ক্রিয়েটিনের পরিমাণ থাকে বেশি। আর এই কারণে কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে সুস্থ-সবল জীবনযাপন করার ইচ্ছে থাকলে আপনাকে আপনাকে ক্রিয়টিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। এই কাজটা করলেই উপকার মিলবে হাতেনাতে। এমনকী এড়িয়ে চলতে পারবেন একাধিক রোগের ফাঁদ।
এখন প্রশ্ন হল, ক্রিয়েটিনের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কী ভাবে? সেই উত্তর জানতে দ্রুত এই প্রতিবেদটি পড়ে ফেলুন। আশা করছি, এই প্রতিবেদনটি পড়ার পর আপনার চোখ খুলে যাবে। আপনিও খুব সহজেই এই উপাদানকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে টেনে আনতে পারবেন।
১. ক্রিয়েটিনিন সাপ্লিমেন্ট খাবেন না
আমাদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত ক্রিয়েটিনিন সাপ্লিমেন্ট খান। বিশেষত, যাঁরা জিম করেন তাঁরাই এই সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন। তবে দেহে এর মাত্রা কমাতে চাইলে এই ওষুধ খাওয়া চলবে না। এই কাজটা করলে যে বিপদে পড়বেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব এইসব সাপ্লিমেন্টের থেকে দূরত্ব তৈরি করুন। তাহলেই এইসব রোগের ফাঁদ এড়িয়ে যেতে পারবেন।
২. প্রোটিন খাওয়া কমান
হেলথলাইন জানাচ্ছে, অত্যধিক পরিমাণে প্রোটিন খেলে একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে বৈকি! আর এই তালিকায় ক্রিয়েটিনিন বাড়ার সমস্যাও রয়েছে। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে কম পরিমাণে প্রোটিন খেতে হবে। এই কাজটা করলেই উপকার পাবেন। নইলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না।
৩. ফাইবার যুক্ত খাবার খান
এই সমস্যার সমাধান করতে চাইলে আপনাকে ফাইবার যুক্ত খাবার খেতেই হবে। তাই সুস্থ থাকতে পাতে রাখুন একাধিক ফল, শাক ও সবজির মতো খাবার। কারণ, এই এইসব খাবারে রয়েছে বেশ কিছুটা পরিমাণে ফাইবার যা কিনা রক্তের ক্রিয়েটিনিন লেভেলকে বশ করতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এইসব খাবারকে ডায়েটে রাখার চেষ্টা করুন। নইলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না।
৪. নুন কম খেলেই মিলবে উপকার
নুন বেশি খেলে বাড়তে পারে প্রেশার। আর প্রেশার বাড়লে যে অচিরেই কিডনির উপর চাপ পড়বে, তা তো বলাই বাহুল্য। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে নুন খাওয়ার অভ্যাসে ফুলস্টপ দিতে হবে। বিশেষত, কাঁচা নুন খাওয়া একদমই চলবে না। এই কাজটা করলেই উপকার মিলবে হাতেনাতে। এমনকী এড়িয়ে চলা যাবে একাধিক রোগের ফাঁদ।
৫. মদ্যপান ও ধূমপান নৈব নৈব চ…
মদ্যপান ও ধূমপান কিডনির জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই সুস্থ-সবল জীবনযাপন করার ইচ্ছে থাকলে মদ্যপান ও ধূমপান করা চলবে না। কিডনির হাল ফিরবে। এমনকী এড়িয়ে যেতে পারবেন একাধিক ঘাতক অসুখ। তার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিন লেভেলকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব এইসব নেশার থেকে দূরত্ব তৈরি করে নিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।