আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েকদিন আগেই উঠেছে সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা। মৎস্যজীবীদের হাজার হাজার ট্রলার মাছের সন্ধানে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছে। বেশিরভাগ মৎস্যজীবী অবশ্য ইলিশের সন্ধানেই সমুদ্রে পাড়ি দেন। তবে এখনো পর্যন্ত মাছের আড়তে ইলিশ মাছের দেখা খুব বেশি মেলেনি। অন্যান্য মাছ অবশ্য পেয়েছেন।
কিন্তু ইলিশ মাছ না পাওয়ার কারণে বেশ চিন্তায় ছিলেন মৎস্যজীবীরা। এরই মধ্যে মৎস্যজীবীদের জালে উঠল এমন মাছ, যা বিক্রি হচ্ছে লাখ টাকায়।রীতিমতো ১১ কেজি ওজনের একটি তেলিয়া ভোলা মাছ উঠল মৎস্যজীবীদের জালে। এই মাছ দীঘার বাজারে বিক্রি হচ্ছে আড়াই লাখ টাকায়।
জানা গিয়েছে যে, দীঘা মোহনার মৎস্যজীবীদের জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে এই বিপুল আকৃতির তেলিয়া ভোলা মাছ পড়েছে। তারপরে দীঘা মোহনার মাছের আড়তে এই মাছ নিলাম করা হয়েছে। ২২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই মাছ। গত মাসের দীঘা মোহনার মৎস্যজীবীদের জালে ১৮ কেজি ওজনের একটি তেলিয়া ভোলা মাছ উঠেছিল।
কাঁথি থানার দু’নম্বর ব্লকের বাসিন্দা সুভাষ জানার এই মাছ উঠেছিল। এমন বিরাট আকারের মাছ দেখতে মাছের আড়তে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। এরপর মাছটিকে নিলামে তোলা হয় দিঘা মোহনার জিএনএফটি কাঁটায়। এদিকে বর্ষাকাল এসে গেলেও দেখা নেই পর্যাপ্ত বৃষ্টির। সমুদ্রের জল গরম। তাই পাওয়া যাচ্ছে না বিপুল পরিমাণে ইলিশ মাছ।
তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ মৎস্যজীবীদের। এই প্রসঙ্গে দিঘা মোহনার মৎস্য ব্যবসায়ী শ্যামসুন্দর দাস আক্ষেপের সুরে জানালেন, “মরশুমের ফসল ইলিশের দেখা নেই। তবে অন্যান্য মাছের সঙ্গে মরশুমে বেশ কয়েকটি তেলিয়া ভোলা ধরা পড়েছে মৎস্যজীবীদের জালে। এই মাছের পটকা ওষুধ তৈরির কাজে লাগে এবং মাছটি সুস্বাদু হওয়ায় ভালো দামে বিক্রি হয়।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।