বিনোদন ডেস্ক : একটি চলচ্চিত্রে বিনোদনের সবচেয়ে বড় অংশটা আসে কৌতুক অভিনেতাদের কাছ থেকেই। তারা হাস্যরস ও অভিনয় দিয়ে ভক্তদের হাসির জগতে উচ্ছ্বসিত রাখেন। অভিনেতাদের পাশাপাশি কমেডিয়ান বা কৌতুক অভিনেতাদের জনপ্রিয়তাও কিছু কম নয়। আবার ধনসম্পদের নিরিখেও তারা কিন্তু বিশেষ পিছিয়ে নেই।
ভারতের এমন কিছু কৌতুক অভিনেতা রয়েছেন যাদের আয় অনেক নামকরা অভিনেতার চেয়েও বেশি। তবে সেই কৌতুক অভিনেতাদের মাঝে কার সম্পদের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় ভক্তদের মনেও। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন ভারতীয় কমেডিয়ান এই মুহূর্তে সবচেয়ে ধনী।
কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিতার শিখরে পৌঁছেছেন জনি লিভার, কপিল শর্মা রাজপাল যাদবের মতো শিল্পীরা।
তবে সম্পত্তির নিরিখে তাদের পেছনে ফেলে দিয়েছেন কন্নেগন্তি ব্রহ্মানন্দম। মূলত দক্ষিণী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ব্রহ্মানন্দম। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এক হাজারের বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ৬৭ বছর বয়সী এই অভিনেতা।
তার মাসিক আয় দুই কোটি টাকা। সম্পত্তির নিরিখে কপিল শর্মা, জনি লিভার কিংবা ভারতী সিংও এই অভিনেতার থেকে অনেকটা পিছিয়ে। জানা গেছে, একেকটি সিনেমার জন্য এক থেকে দুই কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন ব্রহ্মানন্দম। বিজ্ঞাপনের জন্য নেন এক কোটি টাকা। অডি, মার্সেডিজ বেঞ্জের মতো একাধিক গাড়ি আছে ব্রহ্মানন্দের।
এ ছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার জমি। হায়দরাবাদে জুবিলি হিলে বিশাল একটা বাংলো আছে তার। ছেলেবেলায় অর্থকষ্টে ভুগতে হয়েছিল অভিনেতাকে। সে কারণেই আজীবন কাজ করে গেছেন ব্রহ্মানন্দম। দর্শকপ্রিয়তায় নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়।
রোমান্টিক স্টাইলে আম্রপালির সঙ্গে উদ্দাম রোমান্সে মাতলেন নিরাহুয়া
তিনি ভারতের একাধিক ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। সুদীর্ঘ অভিনয় জীবনে এক হাজারের বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করার জন্য ২০০৭ সালে গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছেন। ২০০৯ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেন ব্রহ্মানন্দম। পর্দায় ব্রহ্মানন্দমের উপস্থিতি হাসির খোরাক হয়নি, এমন দর্শক খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর! এখনো অভিনয় জীবনে আগের মতোই প্রাণবন্ত এই অভিনেতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।