আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাজের সন্ধানে দালালের মাধ্যমের অবৈধভাবে ভারতে যায় তিন কিশোরী। তাদের মধ্যে একজন ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে দালালসহ চার যুবকের বিরুদ্ধে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে দালালসহ চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গের বাগদা থানার পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বাগদা থানার মন টোপলা এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা।
স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আজ শনিবার সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বনগাঁ মহকুমা আদালতে অভিযুক্তদের পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের নাম সনোজ বৈরাগী, প্রমথ মণ্ডল, হিরো দাস ও প্রদীপ বিশ্বাস। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনায় প্রবেশ করার পরই দালালদের যৌন নির্যাতনের শিকার হয় এক কিশোরী ।
পুলিশ সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, কলকাতায় কাজ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশি এক দালালের হাত ধরে তিন কিশোরীকে বাগদা থানার রনঘাট এলাকায় নিয়ে আসা হয়।
অভিযোগ, এরপর কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভারতীয় দালাল প্রমথ মণ্ডল ওই তিন নাবালিকাকে রাতের অন্ধকারে মনটোপলা এলাকায় একটি মুরগির ফার্মে নিয়ে আসে। তিন বন্ধুকে ওই মুরগির ফার্মে ডেকে নেয় প্রমথ। সেখানে মদ্যপ অবস্থায় এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সেইসময় বাকি দুই নাবালিকা পালিয়ে যায়।
এতে নাবালিক ও তার দুই বান্ধবীর চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। তারাই অভিযুক্ত চার যুবকের মধ্যে দু’জনকে হাতেনাতে ধরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাগদা থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের জেরা করে রাতেই তল্লাশি চালিয়ে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার ওই চার অভিযুক্ত যুবককে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।