স্পোর্টস ডেস্ক : বিয়ের আগেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন হার্দিক পান্ডিয়া ও নাতাশা স্ট্যানকোভিচ। সেই সম্পর্ক থেকেই অঃন্তসত্ত্বা হয়ে যান নাশাতা। অবশেষ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি একটি গ্র্যান্ড পার্টিতে এই তারকা দম্পতির বাগদান হয়।
এরপর একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে বিয়ে সম্পন্ন হয়। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত ১৯ জুলাই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এই তারকা জুটি।
যেখানে নাতাশা স্ট্যানকোভিচ পোস্টে লিখেছেন, চার বছর এক সঙ্গে থাকার পর, হার্দিক এবং আমি এক সঙ্গে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এক সঙ্গে আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং শেষ পর্যন্ত আমরা এটিকে আরও ভালো অনুভব করেছি। এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল, আমরা এক সঙ্গে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি, আমরা একটি পরিবার তৈরি করেছি। আমরা অগস্ত্যকে (পুত্র সন্তান) পেয়েছি, সে এখনও আমাদের দুজনের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকবে এবং আমরা তাকে সহ-অভিভাবক করব এবং তাকে প্রতিটি সুখ দেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা আপনার সমর্থনের জন্য উন্মুখ, দয়া করে এই কঠিন সময়ে আমাদের গোপনীয়তা বুঝুন।
হার্দিক পান্ডিয়াই একমাত্র ক্রিকেটার নন যার বিয়ে ভেঙেছে। এর আগেও অনেক ভারতীয় তারকা ক্রিকেটারের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।
এই তালিকায় আছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। তিনি ১৯৮৭ সালে নওরিনকে সামাজিক অনুষ্ঠান করে বিয়ে করেছিলেন। বিবাহিত হয়েও বলিউড অভিনেত্রী সঙ্গীতা বিজলানির প্রেমে পড়েন আজহারউদ্দিন। তখন আজহারউদ্দিন দুই ছেলের জনক ছিলেন।
আজহারউদ্দিন ১৯৯৬ সালে সঙ্গীতা বিজলানিকে বিয়ে করার জন্য নওরিনকে তালাক দেন। তবে সঙ্গীতা বিজলানির সঙ্গে বিবাহিত জীবন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ২০১০ সালে দুজনেরই বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর ২০১৭ সালে আজহারউদ্দিন তৃতীয়বার বিয়ে করেন, শ্যানন মারিকে।
ভারতীয় ক্রিকেটার জাভাগল শ্রীনাথেরও বিয়ে ভাঙে। জাভাগল শ্রীনাথ ১৯৯৯ সালে জ্যোৎস্নাকে বিয়ে করেন। কিন্তু জাভাগাল শ্রীনাথ সাংবাদিক মাধবী পাত্রাবলিকে বিয়ে করার জন্য ২০০৭ সালে তার প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন।
তারপর ২০০৮ সালে শ্রীনাথ আবার মাধবী পাত্রাবলিকে বিয়ে করেন।
ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলি ১৯৯৮ সালে প্রথম বিয়ে করেছিলেন নোয়েলা লেমিসকে। বিবাহিত হয়েও আন্দ্রেয়া হিউইট নামের এক মহিলার প্রেমে পড়েছিলেন কাম্বলি। এরপর প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
দীনেশ কার্তিক ২০০৭ সালে তার ছোটবেলার বান্ধবী নিকিতা ভাঞ্জারাকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের বিয়ের পঞ্চম বছরে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে নিকিতার সঙ্গে ভারতীয় আরেক ক্রিকেটার মুরালি বিজয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণে ২০১২ সালে কার্তিক এবং নিকিতা আলাদা হয়ে যান। নিকিতার বিশ্বাসঘাতকতার পর দীনেশ কার্তিক হতাশ হয়ে পড়েন এবং ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ে যান। নিকিতা বর্তমানে মুরালি বিজয়ের সঙ্গে রয়েছেন।
দীনেশ কার্তিক ভারতীয় স্কোয়াশ খেলোয়াড় দীপিকা পাল্লিকালকে ২০১৫ সালের আগস্টে বিয়ে করেন।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা পেস বোলার মোহাম্মদ শামির দাম্পত্য জীবনেও ভয়ঙ্কর ঝড় উঠেছিল। ২০১৮ সালে অভিনেত্রী হাসিন জাহান শামির বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও হয়রানির অভিযোগ তুলেন। মোহাম্মদ শামি সকল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মোহাম্মদ শামি এবং হাসিন জাহান ২০১৮ সাল থেকে আলাদা হয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে একটি আইনি মামলা রয়েছে। শামি ও হাসিন জাহানের একটি মেয়েও রয়েছে। হাসিন জাহান শামিকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্যও অভিযুক্ত করেছিলেন, কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তদন্ত করে তেমন কিছু পায়নি।
অস্ট্রেলিয়ান আয়েশা মুখার্জির সঙ্গে প্রেম করার পর ২০১২ সালে বিয়ে করেন শিখর ধাওয়ান। আয়েশার আগে একবার বিয়ে হয়েছিল, সেই ঘরে তার দুটি মেয়ে রয়েছে। শিখর ধাওয়ান এবং আয়েশা মুর্খার্জির জোরাভর নামে ১০ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। শিখর ধাওয়ান ২০১৫ সাল থেকে পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।
এরপর তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন হলে শিখর ধাওয়ান অভিযোগ করেন যে আয়েশা তার ছেলে জোরভরের সঙ্গে বহু বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন, সে ভারতে আসতে রাজি না। যে কারণে ২০২৩ সালের অক্টোবরে আদালত মানসিক হয়রানির ভিত্তিতে শিখর ধাওয়ানের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনের অনুমতি দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।