জুমবাংলা ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য অপচেষ্টা হয়। সেগুলো আমরা সবসময় কঠোর হস্তে দমন করেছি। কে হিজাব পরবে কিংবা পরবে না সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সুতরাং এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, কেউ যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে সেটি আমরা কঠোর হস্তে দমন করবো।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চারটি ইউনিয়ন নিয়ে নবগঠিত ‘দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া’ থানার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে ফিতা কেটে নতুন থানার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী।
বেগম খালেদা জিয়াকে নারী মুক্তিযোদ্ধা বানাতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কখন যে রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বলে বসেন- এমন মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, সেই শঙ্কার মধ্যেই আছি মির্জা ফখরুল কখন আবার তাদের মুক্তিযোদ্ধা বলে বসেন। তার কাছে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞাটা কি আমি জানি না।
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনি মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস পাকিস্তানিদের ক্যান্টনমেন্টেই পাকিস্তানিদের আতিথেয়তায় ছিলেন। একেবারে নতুন বউয়ের আদরে তাকে আতিথিয়েতা দেয়া হয়েছিল। এখন হঠাৎ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আবিষ্কার করলেন খালেদা জিয়া নাকি নারী মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল এই কথা বলার পর পুলিশের আইজি এবং ঢাকার পুলিশ কমিশনার যখন সমালোচনা করলেন তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বিএনপির অন্যান্য নেতারা পুলিশের আইজি এবং ঢাকার পুলিশ কমিশনারের অনেক সমালোচনা করলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের প্রতি প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের কোন প্রচলিত আইন বলে সেনাবাহিনী প্রধান হয়ে, সেনাবাহিনীর ড্রেস পরে রাজনীতি করেছিলেন, বিএনপি গঠন করেছিলেন এবং রাষ্ট্রপতিও হয়েছিলেন?
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সাহেব যদি সেনাবাহিনী প্রধান হয়ে দল করতে পারেন, রাজনীতি করতে পারেন, আবার রাষ্ট্রপতিও হয়ে যেতে পারেন, তাহলে পুলিশের আইজি এবং ডিএমপি কমিশনার এই উদ্ভট কথার প্রতিউত্তরে যদি কিছু বলে থাকেন, সেটি যথার্থই বলেছেন। একটি অসত্য উদ্ভট কথার জবাবে প্রত্যেক নাগরিকেরই বলার অধিকার আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।