ধর্ম ডেস্ক : খরগোশ। অমায়িক একটি প্রাণী। তৃণভোজী ও স্তন্যপায়ী। এদের লেজ খাটো, কান ও পেছনের পা লম্বা। পৃথিবীতে প্রায় ৫২টি প্রজাতির খরগোশ পাওয়া যায়। বনে ও তৃণভূমি এলাকায় খরগোশ বসবাস করে। গৃহপালিত প্রাণী হিসেবেও জনপ্রিয়।
অনেকেই খরগোশ শখে লালন-পালন করেন। আবার অনেকে খুব বেশি পছন্দ করেন খরগোশের গোশত। আমাদের দেশেও খরগোশ পাওয়া যায়। সাদা খরগোশটাই বেশি পাওয়া যায়। বিক্রিও হয়। এখন জানার বিষয় হলো খরগোশের গোশত খাওয়া যাবে? লালন-পালন বৈধ?
ইসলামি শরিয়তে খরগোশ পালন করা বৈধ। খরগোশের গোশতও হালাল। প্রসিদ্ধ হাদিসের গ্রন্থ বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে আনাস ইবনে মালেক রা. বলেন, ‘মক্কার মাররুজ জাহরান এলাকায় একটি খরগোশকে আরমা ধাওয়া করলাম। আমার সাথে আরও অনেকেই সেটির পেছনে ছুটছিলো। এক পর্যায়ে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়লো। আমি হাল না ছেড়ে ছুটতে থাকলাম। শেষে খরগোশটিকে ধরে ফেললাম। খরগোশটিকে আবু তালহার কাছে নিয়ে গেলে তিনি সেটিকে জবাই করেন। এর পেছনের অংশ ও উভয় রান রসুলের সা. এর কাছে পাঠান। আমি সেগুলো রসুলের সা. কাছে নিয়ে গেলে তিনি তা গ্রহণ করেন। (মুসলিম ১৯৫৩)
এছাড়াও ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমদসহ রহ. অধিকাংশ ফকিহর মতে খরগোশ খাওয়া হালাল। কেউ কেউ নখ থাকা ও হিংস্র হওয়ার কারণে খরগোশ খাওয়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বলেছেন।
কিন্তু খরগোশ খাওয়াকে কেউ হারাম বলেন না। শরিয়তের মূল উৎসগুলোতে খরগোশ খাওয়াকে হারাম বলার মতো কোনো দলিলও নেই। রসুল সা. ও সেটা খেয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।