জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন বলেছেন, রেলের মতো সরকারি সংস্থা যেখানে জনগণের তথ্য নিয়ে এর কারবার, সেখানের টিকিট ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ‘সহজ’ কী করছে তা পইপই করে দেখা প্রয়োজন।
বুধবার (২২ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।
ফেসবুকের ওই পোস্টে মাহবুব কবীর বলেন, রেলের টিকিট নিয়ে কালোবাজারি রোধে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ভেরিফিকেশনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য রেলকে ধন্যবাদ।
কিন্তু বড় বাধা হচ্ছে, ‘সহজ’ আমাজনের ক্লাউড সার্ভার ব্যবহার করছে। মিরর বা ভিপিএন সার্ভার না হলে ইসি হুক আপ করবে না বা অনুমতি (এনআইডি ভেরিফিকেশনের) দেবে না।
‘হয়তো আগামী সপ্তাহে রেলের সঙ্গে ইসির চুক্তি হতে যাচ্ছে। কিন্তু চুক্তি হলেও ভেরিফিকেশনের কাজ বন্ধ থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সহজ’র লোকাল সার্ভার কার্যকর না হবে।’
রেলওয়ের সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, বিদেশের বা বাইরের সার্ভার ব্যবহারের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো- কোনো কারণে যদি অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা ডিলিট হয়ে যায়, তবে সব তথ্যই বরবাদ হয়ে যাবে।
ইভ্যালির প্রসঙ্গ টেনে মিলন বলেন, আমরা ইভ্যালিকে নিয়ে যেমন বিপদে পড়েছি। নানানভাবে যোগাযোগ করার পর, এমনকি সরকারি সংস্থা দিয়েও আমাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা মেইলের রিপ্লাই পর্যন্ত দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, রেল একটি সরকারি সংস্থা আর জনগণের তথ্য নিয়ে এর কারবার। সেখানে ‘সহজ’ কী করছে তা পাইপাই (পইপই) করে দেখা প্রয়োজন।
‘এনআইডি ভেরিফিকেশনে রেলের অগ্রগামী ভূমিকা যদি সহজ’র মিরর বা ভিপিএন সার্ভারের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়, তবে এর সম্পূর্ণ দায়ভার সহজকেই নিতে হবে।’
এ সময় আমাদের দেশকে সব রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।